যশোরের অভয়নগরে ‘সমাজ কল্যাণ উন্নয়ন সংস্থা’ পরিচয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কোটি টাকার লোন দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অন্তত দুই লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয়দের সহায়তায় সংস্থার ম্যানেজার পরিচয়দানকারী আলমগীর হোসেন (৪৭) ও কর্মী মুরাদ হোসেন (৩৮)-কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।
অভয়নগর থানা সূত্রে জানায়, শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে নূরবাগ রেলগেট এলাকায় স্থানীয়রা সন্দেহভাজন দুই প্রতারককে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাদের কাছ থেকে একটি স্যামসাং মোবাইল, একটি সিম্ফনি মোবাইল, নগদ ১ লাখ ১৫ হাজার টাকা, ঋণ প্রদানের ভুয়া কাগজপত্র ও বিভিন্ন ফরম জব্দ করে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটকৃতরা স্বীকার্ততিতে জানা যায়,, সহযোগী আসামি রেজাউল করিম রিপন, কাইয়ুম মোল্যা ও মিলনসহ অন্যদের নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল তারা। এছাড়া ভুক্তভোগীরা জানান, লোন দেওয়ার শর্তে প্রতি এক লাখ টাকার বিপরীতে ১১ হাজার টাকা সঞ্চয় রাখার কথা বলে বিভিন্ন সময় তাদের কাছ থেকে মোট ২ লাখ ১৮ হাজার টাকা সংগ্রহ করে তারা তবে পরে তারা কোন লোন দেয়নি।
এ বিষয়ে অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. আব্দুল আলিম বলেন, দুই প্রতারককে আটক করা হয়েছে, প্রতারিত আরও অনেক মানুষ থানায় এসে অভিযোগ তুলেছেন। ঘটনায় ভুক্তভোগী শাহানারা বেগম বাদী হয়ে অভয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।