প্রতিনিধি 13 July 2025 , 8:06:31 প্রিন্ট সংস্করণ
অভয়নগরে ৪ বছরের শিশু নাদিয়াকে অপহরণের পর হত্যা করা হয়। তিন সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীর সনাক্ত, থানায় অভিযোগ ও ছবি দেখিয়েও কোনো অগ্রগতি নেই। প্রশাসনের এ নীরবতা চরম ব্যর্থতারই প্রমাণ কী?
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ-
যশোরের অভয়নগরের সিদ্ধিপাশা ইউনিয়নের আমতলা বাজার এলাকায় ৪ বছরের শিশু নাদিয়া ইসলামকে অপহরণের পর হত্যা করার ঘটনায় তিন সপ্তাহ অতিক্রম করেছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি যা প্রশাসনের চরম ব্যর্থতাকেই সামনে এনে দিয়েছে।
ঘটনার বিস্তারিত অনুসারে, ১৯ জুন সকাল ১১টার দিকে বাড়ির সামনে খেলছিল শিশু নাদিয়া। তখন বোরকা পরিহিত দুই নারী তাকে অপহরণ করে মোটরসাইকেলে আসা তিনজন যুবকের হাতে তুলে দেয় এবং মুহূর্তেই তারা সোনাতলা বাজারের দিকে চলে যায়। প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে চায়ের দোকানি মো. হবি ঘটনাটি নিজের চোখে দেখলেও তাৎক্ষণিকভাবে গুরুত্ব দেননি, কারণ ভেবেছিলেন বাচ্চাটি আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যাচ্ছে।
তিন দিন পর, ২২ জুন বিকেলে আমতলার একটি ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়। এরপর থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ, ছবি দেখে একজনকে চিনতে পারা, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য সবই ছিল পুলিশের কাছে। তবুও আজ ১৩ জুলাই, তিন সপ্তাহ পরও গ্রেফতার হয়নি একজনও।
এটাই কি প্রশাসনের চরম ব্যর্থতা নয় ? নিহত শিশুর মা আরিফা বেগম বলেছিলেন, “আমার ননদের দেবর ও তার সহযোগীরা আমার মেয়েকে অপহরণ করেছে। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি।”
অন্যদিকে প্রত্যক্ষদর্শী মো. হবি বলেছিলেন,
“ছবিতে একজনকে চিনেছি, পুলিশকে জানিয়েছি। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা বাচ্চাটিকে নিয়ে চলে যায়।”
এই সমস্ত তথ্য থাকা সত্ত্বেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কোনো আসামীকে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করতে পারেনি। তবে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে: ছবি দেখে চেনা একজন সন্দেহভাজন থাকার পরও তাকে আটক করা গেল না কেন? প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য উপেক্ষা করে কেন কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেই? তিন সপ্তাহে একটি শিশুর খুনের মামলায় পুলিশের ব্যর্থতা কী বার্তা দিচ্ছে? এই প্রশ্নের উত্তর অভয়নগরবাসী আজ জানতে চায়।