
স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের আবুল হোসেন (৬০) হত্যা মামলার আসামীরা জামিনে বাড়িতে ফিরেছে। নিহত আবুল হোসেন ও মামলার আসামীরা পাশাপাশি বাড়ির বাসিন্দা। ঘর থেকে বের হলেই একে অপরের সাথে চোখাচোখি হয়। আসামীরা জামিন পেয়ে বাড়িতে আসার পর থেকেই আবুল হোসেনের পরিবারের লোকজন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাদের অভিযোগ, আসামীরা মামলা তুলে নেওয়ার জন্য চাপ ও ভয়-ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। গত বছরের ১৬ জুন তুচ্ছ ঘটনায় আবুল হোসেনকে কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ ঘটনায় নিহত আবুল হোসেনের পরিবার আসামীদের জামিন বাতিল করে বিচারের দাবি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে রুটি গ্রামের নিহত আবুল হোসেনের বাড়িতে গেলে নিহতের স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, এক বছর আগে আমার স্বামীকে দিনের বেলায় কুপিয়ে হত্যা করেছে। হত্যা মামলার আসামীরা জামিন পেয়ে বাড়িতে এসেছে। আমি খুনিদেরকে দেখে কিভাবে বাড়িতে থাকবো। ছেলে মেয়ে নিয়ে আতঙ্কের মধ্যে আছি। এখনও বিচার পাইনি। উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। আমার এক ছেলে দুই বার জেলে খেটেছে।
নিহতের মেয়ে মুক্তা আক্তার বলেন, আসামীরা আমাদেরকে মামলা তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতেছে। আমাদেরকে দেখে হাসাহাসি করে বলে তাদের কিছু করতে পারবো না। ফেসবুকে আজে বাজে মন্তব্য করে।
নিহত আবুল হোসেনের ১০ বছরের ছেলে নাসির বাদশা বলেন, আমার বাবার খুনিদেরকে চোখের সামনে দেখতে খারাপ লাগে। আইনের কাছে অনুরোধ আইন যেন আমার বাবার খুনিদেরকে শাস্তি দেয়।
এ ব্যপারে আবুল হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামী রুবেল মিযার মোবাইল নম্বর একাধিকবার কল দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের জুন মাসে ঈদুল আযহার কোরবানির পশু কেনা নিয়ে প্রতিবেশী সামাদ মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়াসহ কয়েকজন আবুল হোসেনের ছোট ভাই আবু সাঈদকে উপহাস করলে কথাকাটাকাটি হয়। আবুল হোসেন বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিপক্ষের লোকজন কুপিয়ে জখম করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।