প্রতিনিধি 19 August 2025 , 4:15:17 প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের (চিলমারী-হরিপুর) আগামীকাল “মওলানা ভাসানী সেতু উদ্বোধন” চিলমারী অঞ্চলে এখন অনেক কাজ বাকি। এবং কাজের মান নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে অনেক ক্ষোভ। এ দিকে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ” মওলানা ভাসানী ” (চিলমারী-হরিপুর) সেতু। তিস্তা নদীর উপর নির্মিত ১৪৯০ মিটার দীর্ঘ “মওলানা ভাসানী ” পিসি গার্ডার সেতু। বুধবার ২০শে আগস্ট দুপুর ১২টার সময় সেতুটি উদ্বোধন করবেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে নিয়োজিত “উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া”। তবে সেতুর সংযোগ সড়কের কাজ বিশেষ করে চিলমারী অংশের প্রায় ২ কিলোমিটার রাস্তার মেরামত ও কার্পেটিং এর কাজ এখন অসমাপ্ত থাকায়, স্থানীয় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। অনেকের অভিযোগ, সেতুর দরজা খুলে দেয়া হলেও সংযোগ সড়ক চলাচলের উপযোগী নয়, এতে করে কুড়িগ্রামবাসীর প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে বলে জানান। গাইবান্ধা হরিপুর অংশের কাজ অনেক আগেই শেষ হলেও চিলমারী অংশের কাজে গাফিলতি ও অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, সড়কের কাজে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। তবে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দ্রুত কাজ সমাপ্ত করা হবে। দুই জেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন, উত্তরাঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং ভুরুঙ্গামারী স্থলবন্দরের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পুরো কুড়িগ্রামবাসীর পণ্য বিক্রির জন্য হবে আশীর্বাদ স্বরূপ এই সেতুটি। তবে চিলমারীর মানুষ মনে করছেন, অসংশোধিত রাস্তা দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল শুরু হলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান। অনেকেই বলেন, সামান্য বৃষ্টিতেই সড়ক ভেঙে যাচ্ছে, যার কারণে বর্ষা কালে এর টেকসই নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাচ্ছে তাদের মাঝে। চিলমারীর বাসিন্দারা বলছেন, “সেতুর উদ্বোধন হচ্ছে অথচ আমাদের এদিকে রাস্তা এখনো অকেজো এটি কুড়িগ্রাম জেলার মানুষের সাথে তামাশা করা হচ্ছে।” স্থানীয় মুকুল মিয়া ও জোবাইদুল ইসলাম বলেন, আমরা চিলমারীবাসি বরাবরে অবহেলিত হয়ে থাকি, যার কারণে ব্রিজের দক্ষিণ অঞ্চলের কাজ শেষ হলেও উত্তর অঞ্চল তথা চিলমারীবাঁসির রাস্তার কাজ এখনো শেষ হয়নি। “এলজিইডি কর্তৃপক্ষ এদায় এড়াতে পারে না।” ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা জানান, “গাইবান্ধার কাজ দ্রুত শেষ হলো, অথচ কুড়িগ্রাম অংশে ধীরগতি সত্যিই দুঃখজনক। ”চিলমারী অংশের সংযোগ সড়ক উন্নয়ন কাজটি প্রায় সাড়ে ১০ কোটি টাকা চুক্তি মূল্যে পান “নওগাঁর উত্তর বড়গাছার মীর হাবিবুল আলমের” ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে একাধিক হাত বদলের কারণে কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, বাস-ট্রাক চলাচল শুরু হলে এই রাস্তা দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানান। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুছ হোসেন বিশ্বাস বলেন, “আবহাওয়া অনুকূলে আসলেই দ্রুত কাজ শেষ করা হবে বলে জানান তিনি।