প্রতিনিধি 20 February 2025 , 3:42:58 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
আটপাড়া উপজেলার শুনই ইউনিয়নে দুশ্চিন্তায় কৃষক পানি সংকটে শতাধিক হেক্টর জমিতে বোরো চাষে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে ৩-৪ টি গ্রামের কৃষকদের ফসলকৃত জমি । বিলের পানি অসময়ে সেচ, পাশে খালে বাঁধ দিয়ে পানি বিক্রি এসব অভিযোগ করেন কৃষকরা।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় , ইউনিয়নের চাঁনপুর ,মেঘেরকান্দা, দশভাগিয়া প্রায় শতাধিক হেক্টর ও সাবানিয়া প্রায় ৩ হেক্টর জমি রয়েছে এখানে বোরো চাষে একমাত্র পানির ব্যবহার করতো পাশে থাকা বিলের । কিন্তু দুই মাস পূর্বে ইজারাদাররা যেমন মৌলিক পুর শুনই গ্রামের উকিল উদ্দিনের ছেলে সবুজ মিয়া,আছিল উদ্দিন মীর এর ছেলে নূর মুহাম্মদ,আলতু মিয়ার ছেলে আনু ,তারা মিয়ার ছেলে ফজল সহ সংশ্লিষ্ট সদস্যরা অবৈধভাবে সেচ দিয়ে মাছ আহরণ করে। বিলের পাশে খাল সেটিও বাঁধ দিয়ে ২-৩ শত টাকার ও এক মণ ধানের বিনিময়ে প্রায় ৩০০ শত কাঠা জমিতে পানি বিক্রি করছে। এদিকে হেলচিয়া বিলেই ছিল কৃষকের পানি ব্যবহারের একমাত্র উপায়। সেটাও সম্ভব হয়নি এবছর । এতে করে জমি ফাটল সহ বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিয়েছে। এদিকে কৃষকেরা কোন উপায় না পেয়ে পাশে প্রায় দুই কি.মি হতে বিএডিসি সেচপাম হতে পানি নিয়ে কোনরকম চাষকৃত ধানের গাছের চারা রক্ষা পাচ্ছে।
এদিকে এলাকার কৃষকরা জানায়, এখানে প্রায় শতাধিক হেক্টর জমি রয়েছে প্রতি বছরে হেলচিয়া বিল হতে পানি দিয়ে চাষাবাদ করে থাকে কিন্তু এবারেই ৩ মাস পূর্বেই ইজারাদার খোকন মিয়া সেচ দিয়ে মাছ আহরণ করে। কৃষকরা বাঁধা দিলে সে সময় ইজারাদার বলেছিল সে পানি আবার বিলের দিকে দিয়ে দিবে তখন কোন সমস্যা হবে না। কিন্তু ইজারাদার পানি তো বিলের দিকে দেই নাই বরং পাশে খালের পানিটাও বাঁধ দিয়ে আটকে রেখে কৃষকদের কাছে বিক্রি করছে। খালের পানিটা ও যদি পেতেন তাও কিছু টা পানি সংকট নিরসন হতো।
হেলচিয়া বিলের মাঘেরকান্দা ম্যৎসজীবী সমবায় সমিতির সদস্য সবুজ মিয়া জানান, হেলচিয়া বিল সেচ দিয়ে মাছ আহরণ করতে কয়েক জন মিলে কিনেছিল।গত অগ্রহায়ণ প্রায় ৩ মাসে পূর্বে মাছ আহরণ করেছেন। তাছাড়া খালের পানি বিক্রি ও বাঁধের বিষয়টি জিজ্ঞেস সাদ্দের বিল হতে সাদ্দের খাল নামে পরিচিত সেই খাল এমন সময় শুকিয়ে যায়।ঐ বিল হতে পানি জমিয়ে রাখা হয়েছে তাছাড়া সোহেল তার জমির এদিকে বাঁধ দিয়েছিল ।আর সেই বাঁধে পানি জমিয়ে কৃষকদের সুবিধা করে দিয়েছেন।
ঐ এলাকার সচেতনমহলরা বলেন, হেলচিয়া বিল পানি শুকিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ বিল ভরাট হয়ে গেছে,তাই খননের প্রয়োজন, তাছাড়া এখানে কয়েক বিঘা জমি রয়েছে কিন্তু কোন বিএডিসি সেচ নেই।তাই বিলের পানি এই এলাকার কৃষকদের জমি চাষাবাদে বিলের পানি একমাত্র উপায়।তাই জেলা প্রশাসক ও আটপাড়া প্রশাসনকে হেলচিয়া বিল খনন ও সেচের ব্যবস্থা করে কৃষকদের জমি গুলো বাঁচানো দাবি জানান।
আটপাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুয়েল সাংমা’র সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারিতে একটি অভিযোগ পেয়েছেন এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসারকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।বিল সেচ দেওয়ার নিয়ম ও নেই বলেও জানান। অতিশীঘ্রই এর সমাধান হবেও বলেন।