প্রতিনিধি 18 March 2025 , 2:02:51 প্রিন্ট সংস্করণ
স্টাফ রিপোর্টারঃ
নেত্রকোনা আটপাড়া উপজেলায় দৈনিক সোনালী কন্ঠ পত্রিকায় কর্মরত সাংবাদিক হাবিবুল এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলাও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। হাবিবুল ইসলাম উপজেলা বানিয়াজান ইউনিয়নের ছানেফর মিয়ার ছেলে।
গত ১৬ মার্চ দুপুরে আনুমানিক ১ ঘটিকায় এ হামলা এবং লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব হইতে বিরোধ ছিল। এরই জের ধরে ১৬ই মার্চ দুপুর অনুমান ০১.১০ ঘটিকার সময় বে-আইনী জনতাবন্ধে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে উপজেলা ব্রুজের বাজার রোডস্থ তেলিগাতী মোড়ে মনোহারী দোকানের তালা ভেঙ্গে দোকানের ভিতর ঢুকে দোকানের ভিতরে ব্যাপক ভাঙ্গচুর চালায়, দোকানে থাকা ফ্রীজ টেবিল, চেয়ার, ডেস্কটপ কম্পিউটার সহ ইত্যাদি ভাঙ্গচুর করে, যা অনুমান ২,৫০,০০০/- (দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকা , আরোও দোকানের ক্যাশ বাক্স হইতে নগদ ৪৭,৫০০/- টাকা,
তাছাড়া একটি ল্যাপটপ যার মূল্য অনুমান ২৭,০০০/- (সাতাশ হাজার) টাকা , দুইটি বাটন মোবাইল ফোন সহ বিভিন্ন প্রকারের মালামাল নিয়া যায় যার মূল্য অনুমান ১৫,০০০/- (পনের হাজার) টাকা। এসময় দোকান পেট্রোল দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে আশপাশে থাকা দোকানদাররা এসে হামলাকারীদের আটকায়।
উক্ত হামলাকারীরা উপজেলা বানিয়াজান ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে নিলয়, সুজন মিয়ার ছেলে রাকিব, আব্দুর রহমানের ছেলে রবিন, রেজ্জাক মিয়ার ছেলে সজিবসহ অজ্ঞতা আরো ১০ জন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিক হাবিবুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি দুপুরে বাসায় ছিলেন হঠাৎ বাজার ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানতে পারে তার দোকানে লুটপাট ও ভাঙচুর করছে মোবারকপুর গ্রামের একদল সন্ত্রাসী। তাৎক্ষণিক তার দোকানের কাছে যায়, ও ভিতরে গিয়ে দেখেন দোকানের সকল মালামাল এলোমেলো অবস্থায় পড়ে আছে ল্যাপটপ কম্পিউটার ভাঙা অবস্থায় আছে আর ক্যাশ বাক্সে ৪৭ হাজার ৫০০ টাকা ছিল তা নিয়ে গেছে। আশেপাশে ব্যবসায়ীরা তাকে আরো বলেন উক্ত সময় সুযোগ মতো তাকে পাইলে প্রাণে শেষ করিয়া দিত,তা বলে হুমকি প্রদর্শন করে ঘটনাস্থল হইতে চলে যায়। তার সবকিছু শেষ হয়ে গেছে। এ ঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদেরকে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে কঠিনতম শাস্তির দাবি জানান যাতে পরবর্তীতে অন্য কারো সাথে এমন আচরণ না হয়।
এ বিষয়ে জানতে আটপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আশরাফুজ্জামান এর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি জরুরী কাজে উপজেলার বাহিরে থাকায় কোনরকম বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।