প্রতিনিধি 18 August 2025 , 11:07:59 প্রিন্ট সংস্করণ
ঢাকা:
বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আবারও উত্তেজনা, যার কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট মো. সাহাবুদ্দিন। সম্প্রতি তার ভবিষ্যৎ নিয়ে নানা গুঞ্জন ডালপালা মেলেছে। এসব জল্পনাকে আরও উসকে দিয়েছে বিদেশস্থ বাংলাদেশ মিশনগুলো থেকে তার ছবি নামিয়ে ফেলার একটি অলিখিত নির্দেশনা।
গুঞ্জনের ঢেউ এবং চাঞ্চল্য
প্রেসিডেন্টকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা সমীকরণ। শোনা যাচ্ছে, তাকে সরিয়ে অন্য কাউকে সেই পদে বসানো হতে পারে। সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে একটি বহুল পরিচিত নামও ঘুরে বেড়াচ্ছে। যদিও এসব জল্পনাকে অনেকেই ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করছেন, বিশেষ করে আসন্ন নির্বাচনের আগে এমন কোনো পদক্ষেপ সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে পারে। বোদ্ধারা বলছেন, যদি প্রেসিডেন্টকে অসাংবিধানিকভাবে অপসারণ করা হয়, তবে তা দেশের রাজনৈতিক সংকট আরও বাড়াবে এবং আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচনার জন্ম দেবে।
ছবি নামানো ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বার্তা
এই নতুন বিতর্কের সূত্রপাত হয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি অলিখিত বার্তার পর। দেশের বাইরের বাংলাদেশ মিশনগুলোতে প্রেসিডেন্টের ছবি থাকলে তা নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়। ৫ই আগস্টের পর থেকেই এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। সর্বশেষ ১৫ই আগস্ট লন্ডনস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকেও ছবিটি সরিয়ে ফেলা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, যেখানে সরকার প্রধানের ছবি নেই, সেখানে প্রেসিডেন্টের ছবি রাখার প্রয়োজন নেই। তবে সমালোচকরা এই যুক্তি মানতে নারাজ। তারা প্রশ্ন তুলছেন, এক বছর পর কেন এমন নির্দেশনা দিতে হচ্ছে।
অজানা কারণে বিদেশযাত্রা বাতিল
সূত্র মতে, প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের মেডিকেল চেকআপের জন্য বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তাকে সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, তার এই অনুপস্থিতি একটি সাংবিধানিক সংকট তৈরি করতে পারতো। কারণ, স্পিকার পদত্যাগ করেছেন এবং ডেপুটি স্পিকার কারাগারে আছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতিকে দায়িত্ব নিতে হলেও একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হতো।
প্রেসিডেন্ট সাহাবুদ্দিনের পদ নিয়ে চলতে থাকা এই টানাপোড়েন এখন চায়ের টেবিল থেকে নিউজরুম পর্যন্ত আলোচনার বিষয়। নির্বাচন সামনে রেখে পর্দার আড়ালে কী হচ্ছে, তা নিয়ে সবার মনেই প্রশ্ন। এই পরিস্থিতি কি কেবলই জল্পনা, নাকি কোনো বড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, তা সময় বলবে