প্রতিনিধি 4 September 2025 , 2:38:46 প্রিন্ট সংস্করণ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিতে দেরি হওয়ার কারণ জানতে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে ফোন করেছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ পুনঃ জবানবন্দিতে এসব কথা বলেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
পুনঃ জবানবন্দিতে আজ তিনি বলেন, রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদ নিহত হওয়ার পর তাঁর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান তাঁকে ফোন করেন এবং বিলম্বের কারণ জানতে চান। তিনি এই কথোপকথনের পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন রংপুর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পুলিশ কমিশনার তাঁকে জানান, যথাযথ কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিতে দেরি করছে।
গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের একটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে আসামি হিসেবে রয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও। এর মধ্যে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন এই মামলার ‘অ্যাপ্রুভার’ (রাজসাক্ষী) হন। গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধের দায় স্বীকার করে গত মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৩৬তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন সাবেক এই আইজিপি।
জবানবন্দির পর আজকে এ মামলায় রাজসাক্ষী চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ট্রাইব্যুনালে বিচারকাজ শুরু হলে প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন তামীম বলেন, চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও কিছু কথা বলতে চান। তাঁর এসব কথা বলা ছাড়া পূর্ণ সত্য প্রকাশ পায় না।
তখন ট্রাইব্যুনাল জানান, জেরা শেষে তা গ্রহণ করা হবে। এরপর আজ বিকেলে জেরা শেষ হলে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পুনঃ জবানবন্দি গ্রহণ করেন ট্রাইব্যুনাল।