নূরুল হক লিটন,বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ বরগুনার আমতলীতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে গেলে প্রেমিকের বাড়ীর লোকজন কর্তৃক এক নারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী নারীর দাবি, প্রেমিকের মা, ভাবি, ছোট ভাই তাকে শিকল দিয়ে বেঁধে মারধর করেছেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। সোমবার রাতে উপজেলার পশ্চিম আঠারোগাছিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, ২০০৮ সালে উপজেলার পশ্চিম আঠারো গাছিয়া গ্রামের রিপন মোল্লার সাথে ঐ নারীর বিয়ে হয়। ওই দম্পতির তিনটি সন্তান রয়েছে। ২০২২ সালে ওই নারীর সঙ্গে খালাতো দেবর আবুল কালাম মীরের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এর জেরে গত ২৯ মার্চ স্বামী রিপন ওই নারীকে তালাক দেয়।
সোমবার সন্ধ্যায় ভুক্তভোগী নারী বিয়ের দাবিতে প্রেমিক কালামের বাড়িতে আসেন। ওই সময় কালাম বাড়িতে ছিল না। রাত ৯ টার দিকে ঐ নারীকে শিকল দিয়ে গাছের সঙ্গে বেধে মারধর করে প্রেমিকের ছোট ভাই বক্কর মীর, তার স্ত্রী লামিয়া, জা লাকি বেগম ও মা পরি বিবি। খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছালাম সিকদার ও নারী ইউপি সদস্য হাসনাহেনা বেগম তাকে উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ভুক্তভোগী বলেন, আমার চোখ ও বিশেষ অঙ্গে মরিচের গুড়া দিয়েছে।’
প্রেমিক কালামের বড় ভাই আবুল হোসেন মীর তার ভাইয়ের সঙ্গে ওই নারীর সর্ম্পকের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি বাড়ি ছিলাম না। বাড়ি এসে শুনেছি তাকে মারধর করেছে। রাত ১১টার দিকে দুই ইউপি সদস্য তাকে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।’
ইউপি সদস্য মো. সালাম সিকদার ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য মোসাঃ হাসনেহেনা বলেন, নির্যাতনের খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০ টার দিকে কালামের বাড়ি থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করেছি। পরে তাকে আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি।’
আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. রাশেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান বলেন, ‘ওই নারীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখমের চিহ্ন রয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, এ বিষয় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।