নূরুল হক লিটন
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের আয়রন ব্রীজ ভেঙ্গে পরায় চাওড়া ও হলদিয়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পরেছে।
জানাগেছে, আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তর ২০০৬-০৭ অর্থ বছরে উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন খালে ২১ টি আয়রণ ব্রীজ নির্মাণে দরপত্র আহবান করে। প্রত্যেক ে আয়রণ ব্রীজ ২ কোটি টাকা করে বরাদ্দ হয়। আয়রন ব্রীজগুলোর কাজ পায় তৎকালিন হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম মৃধা। অভিযোগ রয়েছে ব্রীজ নির্মাণকালে ঠিকাদার শহীদুল ইসলাম মৃধা প্রভাবখাটিয়ে দায়সারা কাজ করেছেন।
জানা গেছে , গত বছর ২২ জুন বরযাত্রীবাহী মাইক্রোবাস নিয়ে হলদিয়া হাট আয়রণ ব্রীজ ভেঙ্গে ৯ জন নিহত হয়। এ ব্রীজ ভেঙ্গে যাওয়ার ৫ দিনের মাথায় মল্লিকবাড়ীর টেপুড়া খালের ব্রীজ ভেঙ্গে পরে। এরপর বাঁশবুনিয়া, সোনাউডা, হলদিয়া বড় মোল্লা বাড়ী, দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া নজরুল সিকদার বাড়ী, কাঁঠালিয়া বাজে সিন্ধুক, কাঁঠালিয়া মাদ্রাসা সংলগ্ন, চন্দ্রা আউয়াল নগর ও সর্বশেষ শুক্রবার রাতে চর রাওঘা ব্রীজ ভেঙ্গে পরেছে। রাওঘা গ্রামের আমির হোসেন বলেন, ব্রীজটি নড়বড়ে ছিল। স্থানীয়রা ওই ব্রীজটি খেঁজুর গাছ দিয়ে ঠেকিয়ে রেখেছে। শুক্রবার রাতে ব্রীজটির মাঝের অংশ ভেঙ্গে খালে পড়ে গেছে।
হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, ১০ টি ব্রীজ ভেঙ্গে পরেছে। এতে হলদিয়া ও চাওড়া ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে বেশ ভোগান্তিতে পরেছে।
আমতলী উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ ইদ্রিস আলী বলেন, আয়রন ব্রীজগুলোর মেয়াদ শেষ হওয়ায় ভেঙ্গে পরেছে।
বরগুনা জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেদী হাসান বলেন, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।