বরগুনার আমতলীতে (আমতলী ফেরীঘাটের প্রবেশপথে অবৈধ অটোরিকশা স্ট্যান্ড থাকায় পথচারী,যাত্রী, ভাড়ী যানবহনের চলাচল ঝুকিপূর্ণ হয়ে পরেছে। যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
আমতলী পৌরসভার ফেরিঘাটের প্রবেশ পথে অবৈধ অটোরিকশাএলামেলো ভাবে দাড়িয়ে থকে যাত্রীর জন্য। ফেরি ওট্রলার বরগুনা থেকে আমতলীর এপাড় আসলে মনে হয় যনে ঢাকা গুলিস্তানের মত যাত্রীর জন্য হৈচৈ করে । অটোরিক্সাগুলোর অধিকাংশ চালকরা যেখানে সেখানে পার্কিং করে রেখে তারা খামখেয়ালীপনা করে যাচ্ছে। এতে অবৈধ ও ফিটনেসবিহীন রিক্সার ছড়া ছড়ি আমতলী পৌর শহরে ।
বরগুনা থেকে আসা যাত্রী শাওন মিয়া বলেন ফেরীতে যানবাহন উঠানামা করার সময় অটোরিকশা এলোপাতাড়ি পার্কিং করে প্রবেশপথ বন্ধ করে রাখছে প্রতিনিয়ত।এতে চালক,যাত্রী, এবং সকল পারাপারের যানবাহনগুলো ঝুঁকির মধ্যে থেকে ফেরীতে উঠানামা করতে হচ্ছে। উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক জুড়ে অটোরিক্সার ব্যাপক চলাচল।
আমতলী ফেরীঘাটের প্রবেশপথসহ, এ,কে,স্কুল চৌরাস্তা,বড়চৌরাস্তা,বটতলা বাস স্ট্যান্ড,কলাপারা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্পটেও ব্যাপক আকারে যানজটের প্রধান কারন অটোরিক্সা ।এতে প্রতিনিয়তই ঘটছে অপ্রত্যাশিত দুর্ঘটনা।
এব্যাপারে আমতলীর মাহিন্দ্রা কোম্পানীতে কর্মরত মো.ইমাদুল হক মিলন জানান, আমরা বহু স্টাফ রয়েছি আমতলী উপজেলায় বাসা ভাড়া করে থাকছি।আমাদের কর্মক্ষেত্রে কারনে বিভিন্ন এলাকায় যেতে হচ্ছে নদী পারাপার করে।প্রতিনিয়তই দেখা যাচ্ছে মোটরসাইকেল নিয়ে ফেরী পার হতে হয়। কারন বরগুনার জেলার সমস্ত জায়গা গুলোতে কোম্পানির কাজের তাগিদে যেতে হচ্ছে। ফেরীঘাটের প্রবেশ পথে জায়গা দখল করে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।লাইসেন্সবিহীন অটো রিক্সাগুলো এদের কারনে ফেরীর উপরে রাখা লাইসেন্সকৃত যানবাহনগুলো অনেক ঝুঁকির মধ্যে উঠানামা করতে হচ্ছে।
এব্যাপারে আমতলী থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো: বদরুল আলম জানান,আমরা এব্যাপারে সব সময় সচেষ্ট থাকি।এবং থাকবো।কেননা রাস্তায় যানজট নিরাসনের জন্য আমাদের দায়ীত্ব অর্পিত করা হয়েছে।সেক্ষেত্রে আমাদের ভুমিকা সচল আছে এবং থাকবে।আমরা অচিরেই এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনা করবো।
এতে বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মুহাম্মাদ আশরাফুল আলমবলেন,এবিষয় ট্রাফিক বিভাগকে দিক নির্দেশনা দেওয়া আছে। যাতে কোন ভাবে যানজট সৃষ্টি না হয়।