আন্তর্জাতিক

আমাকে ক্ষমা করে দাও মা’, মৃত্যুর আগে ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্যকর্মীর ভিডিওবার্তা

  প্রতিনিধি 6 April 2025 , 8:33:23 প্রিন্ট সংস্করণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক 

আমাকে ক্ষমা করে দাও মা। এই পথটাই আমি বেছে নিয়েছি মা, মানুষকে সাহায্য করার জন্য।’ মৃত্যুর ঠিক আগে মায়ের উদ্দেশ্যে মোবাইলে রেকর্ড করা স্বাস্থ্যকর্মী রেফাত রাদওয়ানের কথা এটি।

 

সেই ভিডিও রেকর্ডে শোনা যায় কালিমা শাহাদাৎ পাঠ করাও… যা মৃত্যুর মুখে বলেন মুসলমানরা। রেফাত রাদওয়ানের সেই ভিডিওতে বুঝা যাচ্ছে, ভয়ে কাঁপছে তার কণ্ঠ, কারণ সেখানে তীব্র গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। ফুটেজ শেষ হওয়ার ঠিক আগে ইসরায়েলি সৈন্যদের উল্লেখ করে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘ইহুদিরা আসছে, ইহুদিরা আসছে।’

 

গত ২৩ মার্চের ভিডিও এটি। যেটি প্রকাশ করেছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস ও ফিলিস্তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি চলন্ত গাড়ির ভিতর থেকে শুট করা হয়েছে। এতে দেখা যায়, একটি লাল ফায়ারট্রাক এবং অ্যাম্বুলেন্সগুলো রাতের কোনো এক সময় চলছে। রাস্তার পাশে আরেকটি গাড়ির পাশে থামে গাড়িগুলো। পরে দুজন ইউনিফর্মধারী ব্যক্তি গাড়ি থেকে নামেন। এরপরই প্রচণ্ড গোলাগুলি শুরু সেই ভিডিওতে দু’জন চিকিৎসকের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। একজন বলছেন, ‘গাড়ি গাড়ি’ এবং অন্যজন উত্তর দিচ্ছেন, ‘এটি একটি দুর্ঘটনা বলে মনে হচ্ছে।’ এর কয়েক সেকেন্ড পরে, গোলাগুলির শব্দ শোনা যায় এবং ভিডিওটি কালো হয়ে যায়।

 

গাজায় অন্যান্য উদ্ধারকারীদের সঙ্গে নিহত রেফাত রেদওয়ানের মোবাইল থেকে একটি ভিডিও উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। ৫ এপ্রিল ভিডিওটি তারা প্রকাশও করেছে। এতে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত অ্যাম্বুল্যান্স ও জ্বলজ্বল করা জরুরি আলোর মধ্যে তীব্র গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছেগাজায় অন্যান্য উদ্ধারকারীদের সঙ্গে নিহত রেফাত রেদওয়ানের মোবাইল থেকে একটি ভিডিও উদ্ধারের কথা জানিয়েছে ফিলিস্তিন রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। ৫ এপ্রিল ভিডিওটি তারা প্রকাশও করেছে। এতে স্পষ্টভাবে চিহ্নিত অ্যাম্বুল্যান্স ও জ্বলজ্বল করা জরুরি আলোর মধ্যে তীব্র গুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে।

 

জাতিসংঘ ও পিআরসিএস জানিয়েছে, ২৩ মার্চ ইসরায়েলি বাহিনীর এক হামলায় ১৫ জন মানবিক সহায়তা কর্মী নিহত হন। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা কোনো অ্যাম্বুল্যান্সে ‘এলোপাতাড়ি হামলা’ চালায়নি, বরং ‘সন্দেহজনক যানবাহনে’ আসা ‘সন্ত্রাসীদের’ লক্ষ্য করেই গুলি চালানো হয়েছে। কিন্তু পিআরসিএস যে ভিডিওটি প্রকাশ করেছে তাতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবির বিপরীতে দেখা যাচ্ছে, অ্যাম্বুলেন্সগুলোতে হেডলাইট এবং জরুরি আলো স্পষ্টভাবে জ্বলতে দেখা যাচ্ছেসাহায্যকর্মীদের মৃত্যু আন্তর্জাতিক নিন্দার জন্ম দিয়েছে। ফিলিস্তিনি অঞ্চলে ওসিএইচএ-এর প্রধান জোনাথন হুইটল বলেছেন, ‘নিহতদের মরদেহ ইউনিফর্ম ও হাতে গ্লাভস পরা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।’ পিআরসিএস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ইসরায়েলের বক্তব্য যে মিথ্যা তা এই ভিডিও দ্ব্যর্থহীনভাবে প্রমাণ করে। এই ফুটেজ সত্যকে উন্মোচিত করে এবং মিথ্যা বর্ণনাকে ভেঙে দেয়।’

 

নিহতদের মধ্যে আটজন পিআরসিএস কর্মী, ছয়জন গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার সদস্য এবং ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার একজন কর্মী ছিলেন। তাদের মৃতদেহ রাফাহ-এর কাছে সমাধিস্থ করা হয়েছিল, যাকে জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় গণকবর হিসেবে বর্ণনা করেছে।।।হয়।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ

আরও খবর: আন্তর্জাতিক

মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড: মুসলিম সোহাগকে ‘হিন্দু’ বানালো ইন্ডিয়া টুডে, উদ্দেশ্য কি বিভেদ সৃষ্টি?

ভয়ংকর সময়ের শেষ পৃষ্ঠায় দাঁড়িয়ে আমরা ইমাম মাহদি আসছেন, ইতিহাস লিখতে !

গাযওয়াতুল হিন্দ কি খুব কাছেই? ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আবহে চরম উত্তেজনা, জেগে উঠছে পুরনো ভবিষ্যদ্বাণী

মধ্যপ্রাচ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ছে: ইরান-ইসরায়েল সংঘাত ঘিরে আজকের শীর্ষ ১০ বিস্ফোরক খবর ‎ ‎➡ সাবধান পৃথিবী, যুদ্ধ শুধু সীমান্তে নয় বিস্তার ঘটছে বিশ্ব কূটনীতির প্রতিটি কোণে!

ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্রের আরেকটি ঝাঁক ছুড়েছে ইরান

ইরানের পাল্টা আঘাতে ভেঙে পড়ছে ‘অভেদ্য’ আয়রন ডোম, ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা এখন চ্যালেঞ্জের মুখে