প্রতিনিধি 12 February 2025 , 4:44:59 প্রিন্ট সংস্করণ
মাত্র ১৩ কার্য দিবসে ৪০০টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কাছে। ‘আয়নাঘর’ পরিদর্শন করে ভুক্তভোগীদের বর্ণনার সঙ্গে ঘটনাস্থলের মিলও পেয়েছে এ কমিশন। তবে আলোচিত এ বন্দিশালা থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মুছে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর গুলশানে গুম সংক্রান্ত কমিশন অফ ইনকোয়ারির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কমিশনের সভাপতি হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী।
কমিশনের সভাপতি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এরইমধ্যে আয়নাঘরে বিভিন্ন পরিবর্তন আনা হয়েছে। দেয়াল রঙ করার পাশাপাশি কয়েকটি কক্ষ ভেঙ্গে ফেলারও প্রমাণ পাওয়া গেছে।তিনি আরও বলেন, তাদের কাছে ৭৫ জন সশরীরে এসে তাদের বিবৃতি দিয়েছেন। অনেকে ডাকযোগে পাঠিয়েছেন, অনেকে ইমেইলে দিয়েছেন। প্রয়োজনে অভিযোগ নেওয়ার সময়সীমা আরও বাড়ানো হবে। তিন মাসে তদন্ত শেষ হবে কিনা সেটা সামনে বোঝা যাবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে আয়নাঘরে সব ধরনের পরিবর্তন স্থগিত করার জন্য লিখিতভাবে বলা হয়েছে বলে জানান কমিশনের সদস্যরা। তারা বলেন, অভিযুক্তদের তলব করে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। গুমে অভিযুক্ত যারা পালিয়ে গেছেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।আয়নাঘরে প্রমাণ মুছে ফেলা প্রসঙ্গে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন বলেন, যে বর্ণনাগুলো আমরা পেয়েছি, সেই মোতাবেক সেলগুলো অনেকাংশে নেই এখন। কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হয়েছে, কিছু জিনিস ভেঙে ফেলা হয়েছে।
মূলত ৬ আগস্ট ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ সালের মধ্যে হওয়া গুমের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখবে এই কমিশন। এরপর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়া হবে। প্রতিবেদন জমা দেয়ার শেষ সময় ছিলো ৩০ সেপ্টেম্বর, পরে সেটাকে বর্ধিত করে ১০ অক্টোবর করা হয়েছে।