♦ প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বর্তমানে বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, কিন্তু জনগণের একটি বড় অংশ তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চায়।
♦ জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন যে, ড. ইউনূসের মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষই দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত।
♦ ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তিনি এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি।
ঢাকা অফিস:
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর সেনাবাহিনী এবং ছাত্রজনতার অনুরোধে দায়িত্ব নেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে।
বর্তমানে তিনি প্রধান উপদেষ্টার পদ থেকে সরে দাঁড়াতে চাইলেও, দেশের সাধারণ মানুষের মন বলছে অন্য কথা। সাধারণ জনগণ থেকে শুরু করে বিশিষ্ট নাগরিক সহ সবার মুখে একই সুর - আগামী ৫ বছর ড. ইউনূসকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চান তারা।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে হওয়া জনমত সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন, ড. ইউনূসের মতো স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানুষই দেশের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত। দুর্নীতিমুক্ত, উন্নত, এবং অর্থনৈতিক দিক থেকে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছেন তারা ড. ইউনূসের হাত ধরে।
রাজধানীর এক চা-দোকানী থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, সবার একই কথা, "দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে ড. ইউনূসের মতো একজন সৎ ও যোগ্য মানুষকেই প্রয়োজন। তিনি প্রধান উপদেষ্টা নন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী হোন, এটাই আমাদের কামনা।"
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরাও মনে করছেন, ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক খ্যাতি, দারিদ্র্য বিমোচনে তার অভিজ্ঞতা এবং সুশাসনের প্রতি তার অঙ্গীকার, দেশের রাজনীতিতে এক নতুন দিশা দেখাতে পারে।
এই প্রসঙ্গে, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, "ড. ইউনূস যদি প্রধানমন্ত্রী হন, তবে দেশের রাজনীতিতে এক নতুন যুগের সূচনা হবে। তরুণ প্রজন্ম নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করবে।"
তবে, ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, তিনি এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী হওয়ার বিষয়ে কোনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি। তিনি বারবারই দেশের কল্যাণে কাজ করে যাওয়ার কথা বলেছেন।
কিন্তু, দেশের মানুষের আবেগ ও প্রত্যাশা কি ড. ইউনূসকে নতুন করে ভাবতে বাধ্য করবে? সময়ই এর উত্তর দেবে।