নিউজ ডেস্ক
ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে এবং তেহরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে দেশটির ওপর কঠোর নীতি কার্যকরের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন তিনি।
ট্রাম্প বলেন, ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সঙ্গে মার্কিন সম্পৃক্ততা বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প।
মসনদে বসেই একের পর এক নির্বাহী আদেশে আর নিষেধাজ্ঞা জারি করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ক্ষমতা গ্রহণের আগে থেকেই বেশ কিছু দেশের সঙ্গে কঠোর হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। শুল্কারোপ ও নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে নিজের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দিকে এগোচ্ছেন ট্রাম্প।
এবার ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের কৌশল অবলম্বন করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের তেল রফতানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে এবং তেহরানকে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখতে মঙ্গলবার তার ওভাল কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যেখানে তার প্রথম মেয়াদের সময় ইরানের ওপর জারি করা কঠোর নীতি পুনরায় কার্যকর করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
স্মারকলিপি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয়কে ইরানের ওপর সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক চাপ বজায় রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এতে ইরানবিরোধী নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয়েছে।
এদিন, জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সঙ্গে মার্কিন সম্পৃক্ততা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। এছাড়া, ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এর জন্য তহবিল বন্ধেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ সম্পর্কিত নির্বাহী আদেশে সাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।