আন্তর্জাতিক ডেক্স
➡️ শত শত ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, হাইপারসনিক গতিতে ছুটছে ইরানের প্রতিশোধ ভাঙছে গর্বিত প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি
বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ আকাশসীমা হিসেবে পরিচিত ইসরায়েল। বহুস্তরীয় প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় তাদের হাতে আছে আয়রন ডোম, অ্যারো-২, অ্যারো-৩, এবং ডেভিড’স স্লিং-এর মতো সর্বাধুনিক প্রযুক্তি। কিন্তু এবার সেই প্রতিরক্ষার 'অভেদ্য' বলয় ভেদ করে ভয়ংকর বার্তা দিচ্ছে ইরান।
গত এক সপ্তাহে হাইপারসনিক প্রযুক্তি, ডেকয় কৌশল ও ব্যারেজ আক্রমণ-এর মাধ্যমে ইরান এমনভাবে আঘাত হেনেছে, যা কেবল ইসরায়েলকেই নয়, গোটা বিশ্বের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদেরও নাড়িয়ে দিয়েছে।
📌 আঘাত এখন আস্থা ও প্রযুক্তির কেন্দ্রে
ইসরায়েলের দাবি অনুযায়ী, আয়রন ডোম প্রায় ৯০% সফলতা দেখায়। কিন্তু বাস্তবে গত কয়েক দিনের পরিস্থিতি বলছে ভিন্ন কথা। প্রতিদিনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় মাত্র এক-তৃতীয়াংশ প্রতিহত করতে পারছে ইসরায়েল।
ইরানের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, তারা ইসরাইলের একটি সামরিক গোয়েন্দা কেন্দ্র ও মোসাদের পরিকল্পনা দপ্তরে সরাসরি আঘাত হেনেছে যা ইসরায়েল অস্বীকার করলেও ক্ষয়ক্ষতির তথ্য ছড়িয়ে পড়ছে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে।
📌 নেতানিয়াহুর বিস্ফোরক দাবি:
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছেন “ইরান প্রতি মাসে প্রায় ৩০০টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করছে। এই গতি থাকলে আগামী ৬ বছরে ইরানের হাতে থাকবে ২০ হাজার মিসাইল!
তিনি এটিকে শুধু ইসরায়েলের জন্য নয়, গোটা মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তার জন্য ‘এক ভয়াবহ হুমকি’ বলে উল্লেখ করেন। যদিও এর পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করেননি তিনি। তবুও তার এই বক্তব্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দারুণ আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে।
📌 বিশ্লেষকরা যা বলছেন:
বিশ্লেষকদের মতে, নেতানিয়াহুর এই বক্তব্য একদিকে যেমন ইরানকে সামরিকীকরণের দায়ে অভিযুক্ত করার প্রচেষ্টা, অন্যদিকে পশ্চিমা জোটকে আরও একবার ইরানবিরোধী সামরিক চেষ্টার পক্ষে এক ধরনের কূটনৈতিক ভিত্তি তৈরির চেষ্টা।
📌 ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র মজুদের বাস্তবতা
২০২৩ সালে মার্কিন কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানান, ইরানের কাছে তিন হাজারের বেশি বিভিন্ন ধরণের ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। এর অনেকগুলোই উন্নত প্রযুক্তির, দ্রুতগামী এবং নির্ভুলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।
📌 আয়রন ডোম: একবার ভেঙে গেলে?
২০০৬ সালে হিজবুল্লাহর রকেট হুমকির জবাবে তৈরি হওয়া ‘আয়রন ডোম’ মূলত স্বল্পপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ব্যবহৃত হয়। ২০১১ সাল থেকে কার্যকরভাবে ব্যবহৃত এই সিস্টেম এখন এক অভূতপূর্ব বাস্তবতার মুখে— যেখানে ইরানের একের পর এক প্রযুক্তি-নির্ভর আক্রমণে এটি বারবার পরাজিত হচ্ছে।