প্রতিনিধি 19 June 2025 , 6:00:26 প্রিন্ট সংস্করণ
এক এক করে নিভে যাচ্ছে মুসলিম নেতৃত্ব: ইরানে হামলা, আবারও নীরব বিশ্ব মুসলিম ! বিশ্বজুড়ে মুসলিম নিধনের মঞ্চে এবার ইরান! আফগানিস্তান থেকে শুরু, রাইসির মৃত্যুর পর এবার হামলা ইরানে প্রতিবারই নিরব মুসলিম বিশ্ব ! তাহলে কি শেষ জামানার পদধ্বনি ?
✍️ কে.এম. মোজাপ্ফার হুসাইন
আফগানিস্তান, ইরাক, লিবিয়া, মিসর, ফিলিস্তিনের পর এবার টার্গেট ইরান আবারও মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর ভয়াবহ নীরবতা!
২০০১ সাল, আফগানিস্তানে মার্কিন হামলা মুসলিম রাষ্ট্রগুলোর কারও প্রতিবাদ ছিল না।২০০৩, ইরাক দখল সাদ্দাম হোসেনকে ‘শহীদ’ হতে হয়েছিল বিচারের আগেই।২০১১, লিবিয়ার গাদ্দাফিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।মিসরের মুরসি, গণতন্ত্রের প্রতীক হয়ে কারাগারে মৃত্যুবরণ করেন।২০২৪ সালে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।এবং ২০২৫ ইসরায়েল এবার সরাসরি হামলা চালালো ইরানে।
আরও একবার নীরব গোটা মুসলিম বিশ্ব !
ইরান এখন সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্র ইসরায়েলের আগ্রাসন শুরু, তেহরান-ইসফাহান কাঁপছে বোমায় গত সপ্তাহে ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও শিল্প অঞ্চলে চালানো ভয়াবহ হামলায় হতাহত হয়েছে বহু মানুষ। ইরানের সেনাবাহিনী এটিকে ‘সম্পূর্ণ যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে আখ্যা দিয়েছে।
তবে প্রশ্ন থেকে যায়—মুসলিম রাষ্ট্রগুলো কোথায় ?
৫৭ মুসলিম রাষ্ট্র, ১৫০ কোটির বেশি মুসলমান তবুও একটিও নেই পাশে দাঁড়াতে ! আজ যখন ইরান আক্রান্ত, তখন বিশ্বের মুসলিম নেতারা ব্যস্ত নিজের মসনদ টিকিয়ে রাখতে।ওআইসি এখনো কোনো জরুরি অধিবেশন ডাকেনি।যেসব মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিবাদ করতে পারে, তারাও কূটনৈতিক চাপে নিশ্চুপ।
কুরআনের ভাষায়
“وَاعْتَصِمُوا بِحَبْلِ اللَّهِ جَمِيعًا وَلَا تَفَرَّقُوا”
“তোমরা সবাই আল্লাহর রজ্জু শক্ত করে ধরো এবং বিভক্ত হয়ো না।”
—সূরা আল ইমরান, আয়াত ১০৩
হাদীস সতর্ক করে দিয়েছে:
“তোমরা যদি জিহাদ পরিত্যাগ করো, দুনিয়া ভালোবাসো, আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড় না দাও—
আল্লাহ তোমাদের উপর লাঞ্ছনা চাপিয়ে দেবেন যতদিন না তোমরা দ্বীনে ফিরে আসো।”
—সুনানে আবু দাউদ
বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ, তবে বিশ্বমঞ্চে আরও বলিষ্ঠ ভূমিকা প্রয়োজন বাংলাদেশ বরাবরই শান্তিপ্রিয় ও ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান নিয়েছে আন্তর্জাতিক ইস্যুতে। কিন্তু বিশ্বজুড়ে মুসলিম নিধনের এই অবস্থা বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও আরও দৃঢ় কূটনৈতিক বার্তার প্রয়োজনীয়তা তৈরি করেছে। এইভাবে চলতে থাকলে কী ভয়ংকর পরিণতি আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে ?একে একে মুসলিম রাষ্ট্রগুলো তছনছ হবে আন্তর্জাতিক রাজনীতির খেলায়।
নেতারা হত্যার শিকার হবেন বা বন্দি হবেন কেউ পাশে দাঁড়াবে না। মুসলমানরা পরিণত হবে নিঃস্ব জাতিতে পরাধীন, বিভক্ত ও দিকহীন। ইসলামিক সংস্কৃতি, শিক্ষা ও আত্মমর্যাদা ধ্বংস হবে অভ্যন্তরীণ বিভেদ আর নেতৃত্বশূন্যতায়।
আমার আহ্বান এখনো সময় আছে, এক হও মুসলিম !এই আগ্রাসনের প্রতিটি অধ্যায় আমাদের সামনে একটি জোরালো বার্তা দেয় ঐক্যই মুসলিম উম্মাহর পরিত্রাণ।আজ যারা চুপ, কাল তারা ধ্বংসের তালিকায়।