প্রতিনিধি 19 June 2025 , 6:46:01 প্রিন্ট সংস্করণ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার চলমান সংঘাত নতুন মাত্রা পেয়েছে। দুই দেশের পারস্পরিক হামলা ও প্রতিশোধমূলক কার্যক্রমে পুরো অঞ্চল জর্জরিত, বাড়ছে আন্তর্জাতিক উত্তেজনাও। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য সামরিক জড়িত থাকা নিয়ে আলোচনার কেন্দ্রে এখন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এক সাংবাদিক সম্মেলনে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানান, “ইসরায়েল-ইরান সংঘাতে যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি অংশ নেবে কি না— সেই বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”
তিনি আরও বলেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সবসময় কূটনৈতিক সমাধানকে প্রাধান্য দেন, তবে প্রয়োজনে শক্তি ব্যবহারে তিনি কখনো পিছপা নন।”
লেভিট সতর্ক করে বলেন, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি বর্তমানে এক বিপজ্জনক পর্যায়ে রয়েছে। “ইরান কখনোই এতটা পারমাণবিক অস্ত্রের কাছাকাছি অবস্থানে ছিল না, মন্তব্য করেন তিনি।
হোয়াইট হাউস জানায়, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্প্রতি জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের একটি গোপন গোয়েন্দা ব্রিফিংয়ে অংশ নিয়েছেন এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।
উল্লেখ্য, চলমান সংঘাতে ইসরায়েল ও ইরান একে অপরের সামরিক ঘাঁটিতে বড় ধরনের হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটি ও শক্তি জোরদার করা হলেও এখনো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি যুদ্ধে জড়ায়নি। তবে গোটা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যেই মার্কিন অবস্থান স্পষ্ট হবে বলে ইঙ্গিত মিলেছে হোয়াইট হাউস সূত্রে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই যুদ্ধে সরাসরি জড়িয়ে পড়ে, তবে তা বৈশ্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতিকে ভয়ংকরভাবে নাড়িয়ে দিতে পারে।