মো. আসাদ উল্লাহ
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার বার্ষিক সম্মেলন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে ২০২৪ সালের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং ২০২৫ সেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় এই সম্মেলন ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
নতুন কমিটির সভাপতি হিসেবে ইসমাইল হোসেন রাহাত, সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খলিল ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সাজ্জাদ সাব্বিরের নাম ঘোষণা করেন সম্মেলনের প্রধান অতিথি মুহাম্মাদ ফয়জুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানটি ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের ইবি শাখার সভাপতি মুহাম্মাদ আল আমিনের সভাপতিত্বে ও ইসমাইল হোসেন রাহাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় তথ্য, গবেষণা ও প্রযুক্তি সম্পাদক মুহাম্মাদ ফয়জুল ইসলাম এবং প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মুফতী আহমদ আব্দুল জলিল।
এছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওবায়দুল ইসলাম, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি ডা. এইচ. এম. মোমতাজুল করীম, মাওলানা মুহাম্মাদ রুহুল আমীন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসান, সায়েম আহমেদ, সাজ্জাতুল্লাহ শেখ, শাখা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার পারভেজসহ অন্যান্য ছাত্র নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই স্ব স্ব ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের তুলনায় স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যের অধিকারী। এই সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কখনোই কোনো চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখলদারি কিংবা কারও প্রতি অতিউৎসাহী হয়ে হামলা করার অভিযোগ নেই। আগামীর বাংলাদেশ যেন ইসলামের আদর্শে পরিচালিত হয়, সে লক্ষ্যে ছাত্রসমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।
তারা আরও বলেন, আমরা একসময় দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ছিলাম, কিন্তু আল্লাহর অশেষ কৃপায় এখন আমরা মুক্ত ও স্বাধীন পরিবেশে অনুষ্ঠান আয়োজনের সুযোগ পেয়েছি। অতীতে ক্যাম্পাসে সম্মেলন আয়োজন তো দূরের কথা, প্রস্তুতির আগেই আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। ভবিষ্যতে যেন নতুন কোনো স্বৈরাচারী শাসনের জন্ম না হয়, সেদিকে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, রোজা মহান আল্লাহর রহমত। এই মাসেই পবিত্র কুরআন নাজিল হয়েছে। আমাদের রমজানকে পরিপূর্ণভাবে কাজে লাগিয়ে তাকওয়া অর্জন করতে হবে। সমস্ত পাপাচার, অন্যায়, অশ্লীলতা থেকে বিরত থাকতে হবে এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তির পথ অনুসরণ করতে হবে। ইসলামের আদর্শে জীবন গঠন করতে হবে এবং অন্তরে মহান আল্লাহর ভয় জাগ্রত রাখতে হবে। রমজানে আমরা যেমন সংযম পালন করছি, পানাহার থেকে বিরত থাকছি, যদি এই শিক্ষা বছরের বাকি ১১ মাসেও অনুসরণ করতে পারি, তাহলে আমাদের জীবন হবে আরও সুন্দর ও সুশৃঙ্খল। ইসলামী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।