আমতলী(বরগুনা)
নূরুল হক লিটন ঃ
বরগুনা জেলার সাবেক বরগুনা-৩(আমতলী-তালতলী) সংসদীয় আসনটি পুর্নবহালের জন্য অন্তবর্তীকালিন সরকারের কাছে দাবী জানিয়েছেন দুটি উপজেলার চার লক্ষাধীক মানুষ। বঙ্গোপসাগর ও পায়রা নদী বেষ্টিত এ সংসদীয় আসনটি বিলুপ্তি হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পরেছে এই এলাকার জনসাধারন। উন্নয়ন বঞ্চিত ও যোগাযোগ বিছিন্ন এ সংসদীয় আসনটি পুনর্বহালের দাবী গ্রামীন জন মানুষের।
জানা গেছে,স্বাধীনতার পর থেকে বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) সংসদীয় আসনটি একটি স্বতন্ত্র আসন ছিল। স্বাধীনতার পর থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বরগুনা জেলায় সংসদীয় আসন ছিল ৩টি।এর মধ্যে আমতলী-তালতলী উপজেলা নিয়ে ১১২ বরগুনা-৩ আসন।বরগুনা বেতাগী নিয়ে সংসদীয় আসন বরগুনা -০২ পাথরঘাটা বামনা নিয়ে বরগুনা - ০৩ আসন ছিলো।
২০০৮ সালে তত্বাবধায়ক সরকার সীমানা নির্ধারণ অধ্যাদেশ ১৯৭৬ এর ৬ এর (২) ধারা এর প্রশাসনিক কাঠামো,আয়তন,বাস্তবিক ও জনসংখ্যা বিবেচনা না করে শুধুমাত্র জনসংখ্যার ভিত্তিতে এ আসনটি (আমতলী-তালতলী) বিলুপ্তি করে বরগুনা জেলা সদরের সাথে সংযুক্ত করে দেয়। জনসংখ্যার ভিত্তিতে তত্ত¡াবধায়ক সরকার আসন বিন্যাস করায় উন্নয়ন বঞ্চিত হয় আমতলী-তালতলী উপজেলার সাধারন মানুষ।
বরগুনা জেলা সদর ও আমতলী উপজেলা সদরের মধ্যখানে ৪ কিলোমিটার প্রস্থ প্রমত্তা বুড়িশ্বর (পায়রা) নদী। বর্ষাকালে এ নদী অগ্নিরূপ ধারণ করে।এতে জন সাধারণের সীমাহীন দূর্ভোগ পোহাতে হয়। অভিভাবকহীন,যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ও উন্নয়ন বঞ্চিত এ জনপদের মানুষের দুর্ভোগের শেষ নেই।
বঙ্গোপসাগর ও পায়রা নদী বেষ্টিত আমতলীও তালতলী উপজেলায় তেমন উন্নয়নের ছোয়া পৌছেনি। প্রাচীন,ঐতিহাসিক,ভৌগোলিক,জনসংখ্যা ও ভোটার সংখ্যার বিবেচনায় বিলুপ্তি হওয়া সাবেক ১১২ বরগুনা-৩ আসনটি পূনর্বহাল এ জনপদের মানুষের প্রাণের দাবী।
ঘূর্ণিঝড়,জলোচ্ছাস,সিডর ও আইলাসহ নানা প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এসংসদীয় আসনটি (আমতলী-তালতলী) পূর্নবহালের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধা,রাজনৈতিক,সুশিল,সমাজ,শিক্ষক,কৃষক,জেলে,রাখাইনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ। তারা এ আসনটি পূর্ণবহালের জোর দাবী জানান।
আমতলী উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব মো.তুহিন মৃধা বলেন, সংসদীয় আসন বিলুপ্তি হওয়ায় উন্নয়ন বঞ্চিত আমতলী-তালতলীর জনগন।এ আসনটি পুনর্বহালের দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মো. জহিরুল ইসলাম মামুন (ভিপি)মামুন বলেন ১১২-বরগুনা -০৩ আসনটি পূর্নবহালের জন্য সরকারের কাছে দাবী জোর দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মকবুল আহমেদ খাঁন বলেন,আসন বিলুপ্ত হওয়ায় চরম দূর্ভোগে পরেছে তালতলী-আমতলীর মানুষ। মানুষের দুর্ভোগ লাগবে আসনটি পুনর্বহালের দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা বিএরপির সাবেক সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন ফকির বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকার উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসনটি বিলুপ্ত করে বরগুনার দুইটি আসন করে। উন্নয়ন বঞ্চিত হয় আমতলী তালতলী এ আসনটি জরুরী ভাবে পূর্নবহাল করা সাধারন মানুষের সময়ের দাবী ।
তালতলী উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক মো. ফরহাদ হোসেন আক্কাস মৃধা বলেন,আমতলী তালতলী সংসদীয় আসন পূর্নবহালের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে জোর দাবী জানাই।
আমতলী উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি সাবেক পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ১১২ বরগুনা ০৩ আসনটি এঅঞ্চলের সাধারন মানুষের জন্য পূর্নবহালের দাবী জানাই।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্মমহাসচিব আমতলীর সন্তান অ্যাডঃ গাজী তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকার উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে বরগুনা-৩ (আমতলী-তালতলী) আসনটি বিলুপ্ত করে বরগুনার দুইটি আসন করে।এতে উন্নয়ন বঞ্চিত ও যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে চরম দূর্ভোগে পরে আমতলী-তালতলীর জনগন।তিনি আরও বলেন,জনগনের সুবিধার্থে এ আসনটি পুনর্বহাল করা একান্ত প্রয়োজন। আমি নির্বাচন কমিশন সংস্কার কমিটির প্রধান ডঃ বদিউল আলম মজুমদার সাহেবের দেখা করেছি এ বিষয় তিনি বলেছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
২০০২ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনিত প্রার্থী,২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য প্রার্থী সদস্য সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ¦ গোলাম সরোয়ার ফোরকান বলেন,স্বাধীনতার পর থেকে আমতলী-তালতলীর আসনটি ছিল স্বতন্ত্র।২০০৮ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকার প্রশাসনিক কাঠামো,আয়তন ও বাস্তবিক অবস্থা সরেজমিন পরিদর্শন না করে শুধুমাত্র জনসংখ্যার ভিত্তিতে এ আসনটি (আমতলী-তালতলী) বিলুপ্তি করে বরগুনা সদর আসনে সাথে সংযুক্ত করে।এতে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছে আমতলী-তালতলীর জনগন। তিনি অতিদ্রæত আসনটি পুনর্বহালের জন্য অন্তবর্তীকালীন সরকারেরকাছে আমতলী তালতলীর জনগনের পক্ষ থেকে দাবী জানান।
আমতলী উপজেলা পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ এম এ কাদের মিয়া বলেন আমতলী তালতলী সংসদীয় আসন পূর্নবহাল এঅঞ্চলের সকল মানুষের প্রানের দাবী।
১১২বরগুনা -৩ আমতলী তালতলীর বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবি অ্যাডঃ আব্দুল মজিদ মল্লিক বলেন, ২০০৮ সালে তত্ত¡াবধায়ক সরকার উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে বরগুনা-৩(আমতলী-তালতলী) আসনটি বিলুপ্ত করে বরগুনার দুইটি আসন করে। তিনি আরও বলেন প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলা করে প্রমত্তা পায়রা নদী ও প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ সংসদীয় আসনটি (আমতলী-তালতলী) পূর্নবহালের দাবীতে মুক্তিযোদ্ধা,রাজনৈতিক,সুশিল,সমাজ,শিক্ষক,কৃষক,জেলে,রাখাইনসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষ ঐক্যবদ্ধ,জনগনের সুবিধার্থে এআসনটি পুনর্বহাল করা একান্ত প্রয়োজন। আমি গত সংসদ নির্বাচনের পূর্বে প্রধান নির্বাচন কমিশণারসহ নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলাম এবং আমতলী তালতলীর সাধারন মানুষ তালতলী থেকে শুরু করে আমতলীর শাখারিয়া পর্যন্ত ও ঢাকা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছিল। তারপর এ বিষয় নির্বাচন কমিশনে ১ ঘন্টা শুনানি করে ছিলাম । তখন নির্বাচন কমিশন আশ^স্ত করেছিল আসনটি পূর্নবহাল করবে। কিন্ত কি কারনে তারা করেনি তা আজও জানতে পারিনি। আমরা বর্তমান নির্বাচন সংস্কার কমিটি ও নির্বাচন কমিশনের কাছে আমতলী তালতলী সংসদীয় আসন পূর্নবহাল চাই।
১১২-বরগুনা -৩ আমতলী তালতলীর বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মো. মতিয়ার রহমান তালুকদার বলেন, আমতলী তালতলীর সকল মানুষের প্রানের দাবী সংসদীয় আসন পুর্নবাহালের। আমতলী -তালতলী উপজেলার সকল শ্রেনী পেশার মানুষের দাবী অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে সংসদীয় আসনটি পূর্নবহালের।