জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক কিশোরীকে (১৫) সংঘবদ্ধ গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৮জনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার বিকেল থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বদরখালী ইউনিয়ন ও মহেশখালীতে অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলো—বদরখালী ইউনিয়নের কলেজপাড়া গ্রামের মো. ইছহাকের ছেলে মোহাম্মদ কাজল (২৩), একই ইউনিয়নের টুটিয়াখালীপাড়ার মৃত ইজ্জত আলীর ছেলে মো. বশির (৩৮) ও ঢেমুশিয়াপাড়ার আব্দুস সোবহানের ছেলে মো. শাহজাহান (২৭), বদরখালী বাজারপাড়ার জিয়াবুল করিমের পুত্র তাজুল ইসলাম (১৮), নুরুল আফসারের পুত্র সজীব (২৫), বদরখালী টুটিয়াখালী পাড়ার বশির আহমদের পুত্র ছোটন প্রকাশ চোরা ছোটন (২৫), দাতিনাখালী পাড়ার আবু ছালেহ'র পুত্র অমিত হাসান (২৫) ও পূর্ব লম্বাখালী পাড়া গ্রামের গোলাম কাদেরের পুত্র তারেকুর রহমান।
এদিকে কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবীতে কক্সবাজার জেলা জুড়ে বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন, ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ প্রতিবাদ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে।
ভিকটিম কিশোরী জানায়, গত রোববার ওই কিশোরী বদরখালী স্টেশন থেকে একটি সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে মহেশখালী যাচ্ছিলেন। অটোরিকশাটি বদরখালী সেতুর ওপর গেলে গাড়ি নষ্ট হওয়ার বাহানা দিয়ে চালক তাকে নামিয়ে দেয়। সেতু পার হওয়ার সময় দু'জন তার পথ রোধ করে। পরে ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ ধারালো ছুরি দেখিয়ে তার মুখ চেপে ধরে সেতুর নিচে প্যারাবনের ভেতরে নিয়ে যায়। সেখানে দলবদ্ধ হয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। কিশোরী কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি রয়েছেন। আতঙ্ক ও ভয়ে এখনো কাঁপছে সে।
এদিকে এর প্রতিবাদে গতকাল দুপুরে চকরিয়া-মহেশখালী সড়কের বদরখালী সেতু এলাকায় সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। ফলে কয়েক ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মঞ্জুর কাদের ভূঁইয়া বলেন, এ ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৯জনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিদের পুলিশের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করা হবে। ‘কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে কথা হয়েছে, মামলার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।