জামাল উদ্দীন, কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার (বিএন) মোঃ সিয়াম উল হক জানান,
কক্সবাজার টেকনাফ সীমান্ত জনপদ গত ৩রা জানুয়ারী রাত ১১টারদিকে টেকনাফ শাহপরীর দ্বীপ সমূদ্র এলাকা দিয়ে মাদকের একটি বড় চালান মায়ানমার হতে বাংলাদেশে প্রবেশের গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পূর্ব জোনের বিসিজি স্টেশন টেকনাফ ও বিসিজি আউটপোস্ট শাহপরীর পৃথক আভিযানিক দল শাহপরীর দ্বীপ সমূদ্র এলাকায় বিশেষ অভিযানে যায়। অভিযানকালীন কিছুক্ষণ পর মায়ানমারের মংডু নাইক্ষ্যংদিয়া হতে একটি বড় ইঞ্জিন চালিত ফিশিং বোট বাংলাদেশ জলসীমায় প্রবেশ করে। উক্ত বোটটিকে থামার সংকেত দিলে বোটটি সংকেত অমান্য করে দ্রæতগতিতে কক্সবাজারের দিকে পালাতে শুরু করে। কোস্টগার্ড সদস্যগণ ফাঁকা গোলার মাধ্যমে বোটটিকে থামার সংকেত প্রদান করলে সন্দেহভাজন বোটটি কোস্ট গার্ড এর উপর অতর্কিত গুলি বর্ষন শুরু করে। এসময় কোস্ট গার্ড আভিযানিক দল আত্মরক্ষার্থে এবং বোটটিকে অকেজো করার লক্ষ্যে ওয়াটার লাইন এবং ইঞ্জিন রুম বরাবর গুলি চালায়। এতে করে বোটটি থেমে যায় এবং আভিযানিক দল বোটটিকে আটকের পর তল্লাশী করে ১০হাজার পিস ইয়াবা, ৩টি দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র, ৩ রাউন্ড তাজা বুলেট ও ১৬জন ডাকাত ও মাদক পাচারকারী আটক করতে সক্ষম হয়। বোটটি তল্লাশী চলাকালে ইঞ্জিনরুমে ১জনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ধৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা মায়ানমার হতে মাদকদ্রব্য পাচারের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে নিয়ে আসার সময় কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সমূদ্রে ফেলে দেয়। সমুদ্রে ফেলে দেওয়া মাদকদ্রব্য উদ্ধার অভিযান চলমান রয়েছে।
বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেঃ কমান্ডার (বিএন) মোঃ সিয়াম উল হক জানান,জব্দকৃত মাদকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র, তাজা গোলা ও আটককৃত আসামীদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।