স্টাফ রিপোর্টার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানার এক সহকারী উপপরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে মামলার বাদীকে থানার ভেতরে লাথি মারা ও স্যান্ডেল দিয়ে মারধরের অভিযোগ তদন্তে সত্যতা পায়নি জেলা পুলিশের গঠিত তদন্ত কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকালে কচাকাটা থানায় গিয়ে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করে তিন সদস্যের তদন্ত দল। জেলা পুলিশের নির্দেশনায় গঠিত এই কমিটির নেতৃত্ব দেন ভূরুঙ্গামারী-কচাকাটা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মাসুদ রানা। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন-সিআইডি ইন্সপেক্টর (অপরাধ) মাসুদ রানা ও ডিএসবি ইনচার্জ আলমগীর হোসেন।
তদন্ত কমিটি বাদী হোসেন আলী, তার বড় ভাই হাছেন আলী এবং তাদের বাবা তফাজ্জল হোসেনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে। পাশাপাশি অভিযুক্ত এসআই মামুনার রশিদের বক্তব্যও নেওয়া হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার সংশ্লিষ্ট ক্লোজ সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে তদন্তকারীরা।
ওসি নাজমুল আলম বলেন, সাক্ষ্য প্রমাণে বাদীর অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি। তার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে থানার সংশ্লিষ্ট সিসি ক্যামেরার ফুটেজ যাচাই ও বিশ্লেষণ করেছেন তদন্ত কমিটি। অভিযোগের কোনও সত্যতা পাওয়া যায়নি।
'বাদী হোসেন অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। তার অভিযোগের সকল দিক যাচাই-বাছাই করে সত্যতা পাওয়া যায়নি। মূলত তার করা পিটিশন মামলার প্রতিবেদন তাদের চাহিদা ও পছন্দমাফিক না হওয়ায় তদন্তকারী কর্মকর্তাকে বিব্রত করতেই এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন তিনি' যোগ করেন ওসি।
কুড়িগ্রাম এসপি মাহফুজুর রহমান বলেন, অভিযোগকারী হোসেন যে অভিযোগ করেছেন তা নির্জলা মিথ্যা। তার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি সাক্ষ্য প্রমাণের পাশাপাশি থানার সিসি টিভির ফুটেজ যাচাই-বাছাই করেছে। ন্যূনতম সত্যতা পাওয়া যায়নি। এ ধরনের অভিযোগ পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ করে। এ জন্য সব পক্ষকে আরও বেশি দায়িত্বশীল আচরণ করার অনুরোধ থাকবে।