চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নে পূর্ব চাতল গ্রামে। অপহৃত শিশু আজাদ একই গ্রামের প্রবাসী সোহেল মিয়ার ছেলে।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, অপহরণকারী ইমন মিয়া শিশু আজাদকে অপহরণ করে কিশোরগঞ্জ সদরে তার বন্ধু আব্দুর রহিম নিশাদ (১৬) তার নানার বাসায় আটকে রেখে শিশুটির মায়ের কাছে ৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।

তারই ধারাবাহিকতায় বুধবার ভোরে পুলিশের একটি টিম অপহৃত শিশু আজাদকে উদ্ধার ও অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকা ৩ জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করেছে । গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে ইমন মিয়া (১৫), আব্দুর রহিম নিশাদ (১৬) ও নুরুদ্দিন (৪০) ।

শিশু আজাদের মা কল্পনা আক্তার জানান, মঙ্গলবার দুপুর দেড়টার দিকে শিশু আজাদকে নিয়ে ইমন বাড়ির পিছনে অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকাল ৩ টায় ইমন একা বাড়িতে ফিরে আসে। ইমনের কাছে আজাদ কোথায় জানতে চাইলে সে বিভিন্ন ধরনের অসঙ্গতিপূর্ণ কথা বলতে থাকে। তখন আমি ইমন ও বাড়ির অন্য লোকদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে আজাদকে খুঁজে পায়নি। সন্ধ্যা ৬ টার দিকে আমার মোবাইলে একটি ইমু নম্বর থেকে ভিডিও ফোন দিয়ে আমার ছেলেকে দেখায় এবং ৬ লাখ টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারলে আমার ছেলেকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে বিষয়টি আমি লিখিতভাবে থানায় অবহিত করলে পুলিশ আমার স্বামীর বোনের ছেলে ভাগিনা ইমনকে ব্যাপকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার দেওয়া তথ্যানুযায়ী কিশোরগঞ্জ সদরের একটি বাসা থেকে বুধবার ভোরে আজাদকে উদ্ধার করে পুলিশ। কটিয়াদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম জানান, উপজেলার পূর্ব চাতল গ্রামের এক প্রবাসীর ২২ মাস বয়সের শিশু অপহরণের পর রাতে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জ সদরের নগুয়ার একটি বাসা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয় এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে গ্রেফতার করে তাদের ২৬ ই মার্চ বুধবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। এলাকাবাসী জানায়, অপহরণকারীরা মাদকাসক্ত। মূলত মাদকের টাকা যোগাড় করার জন্য তারা পরিকল্পিতভাবে এ কাজ করেছে। উক্ত ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

আবু সালেহ মোঃ হামিদুল্লাহ

কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) নিজস্ব প্রতিনিধি।