প্রতিনিধি 12 April 2025 , 10:03:34 প্রিন্ট সংস্করণ
কলমে: কৃতদাস
অর্ধশতাব্দী হয়েছে তুমি নাই- কিন্তু তুমি আছ সকল প্রতিবাদের অস্তিত্ব জুড়ে।
আমি প্রতিদিন তোমাকে খুঁজেছি এদের আন্দোলন আর মুক্তির মিছিলের ভিড়ে।
সেইদিন আনন্দবাজার ভিক্ষা চেয়েছিল তোমার লেখনী-
তবু কবিতার স্রোতের তীব্রতায় প্রকাশের হিম্মত হয়নি পত্রিকায়।
তবু তুমি থেমে যাওনি সেদিন, ধুমকেতুর বুকে সেদিন স্থান দিয়েছিলে আনন্দময়ীর আগমনের বিশালতা।
তুমি মুক্তি চেয়েছিলে ভারত বাংলার প্রতিটি মানুষের,
তাই তোমার ভাগ্যে জুটেছিল কারাগার।
কিন্তু আজ যাঁরা তোমার লেখা বানী পুঁজি করে প্রতিবাদী সেজেছে তারা হয়েছে নেতা।
না! সফলতার পর তোমায় মনে রাখেনি সেই বিপ্লবী জনতা!
সকল আন্দোলনে তোমার লাথি লাথি মার ভাংরে তালা,
সকলে মিছিল তোমার কারারঐ লৌহকপাট।
মুক্তির মিছিলে বিজয় এলেই তুমি হারিয়েছ এদের সকল শ্লোগান থেকে,
কারণ তুমি হৃদয়ে ছিলেনা কারো শুধু তোমার বানীরে পুজি করেছে এরা, বার বার দখলে ক্ষমতার চেয়ার।
সকল জনসভায় তোমার হিন্দু না ওরা মুসলিম ঐ জিজ্ঞাসে কোন জন,
বক্তৃতা শেষ হলেই ভুলে যায় সকল প্রতিশ্রুতি যা দিয়েছিল আমার এই ভুলো মন রাখিতে সম্প্রতির বন্ধন।
এখনো পথে পথে শুনি তোমার রেখে যাওয়া সাম্যের বানী-
তবে তোমারে ভালোবেসে নয়,
এরা নিজের জনপ্রিয়তায় তোমার মিথ্যে সৃতিচারণ দেখায় আজ যেদিকেই তাকাই।
অর্ধশতাব্দী হয়েছে তুমি নাই,
আজ তোমার রেখে যাওয়া বানী পুঁজি করে এরা নিজের স্বার্থ হাসিল করেছে তবে খুব সতর্কতায়।
তবে তুমি সেদিন কেন লিখেছিলে “আমি আপনাদের ভালোবাসা পেয়েছিলাম সেই অধিকারে বলছি”
এদের মধ্যে তোমাকে ভালোবাসা দিয়েছে এমন মানুষ হারিয়েছে লালসার ভিড়ে!
তবু আশায় বুক বেঁধে আছি একদিন সকল বাঙালির শুধু মুখে মুখে নয়-
হৃদয়ের গভীরতায় সমবেত সুরে বেজে উঠবে সাব্বাশ তোমার ঐ বীরত্বের কামাল পাশা’য়।
সকল কন্ঠে আজানের ধ্বনির মতো বেজে উঠবে এক সাথে
তোমার সেই কালজয়ী মুক্তিকামী বীর-
আমি বিশ্ব ছাড়ায়ে উঠিয়াছি একা চির- উন্নত শির!!
(প্রয়াত কবি প্রিয় নজরুল ইসলামকে উৎসর্গ করে লেখা “হে প্রিয় তারা তারাখ্যাপা”)