অন্যান্য

কয়রা থানায় বয়স্ক ভাতার টাকা প্রতারণা করে উত্তোলন করা অভিযোগ 

  প্রতিনিধি 24 November 2024 , 5:26:07 প্রিন্ট সংস্করণ

 

ক্রাইম রিপোর্টার (পাইকগাছা, খুলনা)

 

খুলনার কয়রা উপজেলার আমাদী ইউনিয়নের খিরোল গ্রামের মোছাঃ জলেখা বিবি নামের এক বয়োবৃদ্ধ মহিলার বয়স্ক ভাতার টাকা প্রতারণা করে উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে আমাদি ইউনিয়ন পরিষদের ৩নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হাসানুর রহমান ও তার আপন ভাই আক্তার মোড়লের বিরুদ্ধে । এই ঘটনা নিয়ে এলাকা জুড়ে মানুষের মাঝে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সর্বশেষ এ বিষয়ে বিধবা ভাতাভোগী জলেখা বিবির পুত্র আইয়ুব আলী মল্লিক বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (২১/১১/২৪) উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। সংশ্লিষ্ট লিখিত অভিযোগ সূএে জানা গেছে, জলেখা বিবি আমাদী ইউনিয়ন পরিষদ হতে যাচাই-বাছাই হয়ে বয়স্ক ভাতা ধারি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। পরবর্তীতে তালিকায় টাকা পাওয়ার জন্য আমার মায়ের নগদের মোবাইল নম্বর দেওয়া হয়। কিন্তু তালিকাভুক্তির ২১ মাস যাবৎ আমার মায়ের মোবাইলে বয়স্ক ভাতার টাকা পাইনি। এ বিষয়ে ১ নং বিবাদী/ মেম্বার হাসানুরকে জিজ্ঞাসাবাদ করিলে তিনি বলেন, আমার মায়ের নামে বয়স্ক ভাতা দেওয়া হয়নি। আমরা জানাশুনা করে দেখি আমার মায়ের বয়স্ক ভাতার টাকা ০১৯৫৪০৯৪৫৭৬ নং মোবাইল নম্বরে চলে যাচ্ছে । তখন আমরা উল্লেখিত নাম্বারটি যাচাই-বাছাই করি এবং উপজেলা সমাজসেবা অফিসে গিয়ে জানতে পারি এটা স্থানীয় ইউপি সদস্য হাসানুর রহমানের আপন ভাই আক্তার মোড়লের। তিনি প্রতারণা করে তার ভাইয়ের মোবাইলে ৭ কিস্তিতে মোট ১২,৮১০ টাকা ঢুকেছে। সে প্রতারণা করে টাকাগুলো সব আত্মসাৎ করেছে। যার কারনে আমার মাতা বয়স্ক ভাতাধারী অভাব অনটনে কষ্ট পাচ্ছে। উল্লেখ্য ইউপি সদস্য হাসানুর রহমান প্রতারণা করে তার আপন ভাই আক্তার মোড়লকে মোবাইলে আমার মায়ের ৭ কিস্তির টাকা প্রদান করেছে। প্রকাশ থেকে যে, তাদের পিতা মহিউদ্দিন মোড়ল বয়স্ক ভাতাধারী ব্যাক্তি ছিলেন, তার মৃত্যুর পর বয়স্ক ভাতাধারী থেকে তার নাম বাদ না দিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করিতেছে।এ বিষয়ে জানতে ইউ পি সদস্য মোঃ হাসানুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল করা হলে তিনি মোবাইল সংযোগ রিসিভ করেননি। কয়রা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলি বিশ্বাস বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ