প্রতিনিধি 6 September 2025 , 7:10:32 প্রিন্ট সংস্করণ
১৮৬৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা শুরু করা আমেরিকান লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি (আলিকো) ১৯৫২ সালে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। দীর্ঘ সময় “আলিকো” নামেই পরিচিত এই গ্লোবাল কোম্পানি ২০১০ সালের নভেম্বরে বৈশ্বিক পর্যায়ে “মেটলাইফ-আলিকো” নামে কো-ব্র্যান্ডেড হয়। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠানটি পূর্ণাঙ্গভাবে আত্মপ্রকাশ করে “মেটলাইফ” নামে।
বাংলাদেশে এই বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের আলোচনায় উঠে আসে এক গর্বিত নাম–মোঃ টিপু সুলতান।
গাজীপুরের টঙ্গীতে জন্ম নেওয়া টিপু সুলতান একজন ঐতিহ্যবাহী মুসলিম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান। তাঁর বাবা ছিলেন সরকারি চাকরিজীবী, যিনি বিটিএমসি কাদেরিয়া টেক্সটাইল মিলস লিমিটেডে ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাবার কর্মসূত্রে পরিবারের বসবাস ছিল বিটিএমসি কোয়ার্টারে। তবে বাবার মৃত্যু পর তাঁরা ফিরে যান নরসিংদী জেলার ঐতিহ্যবাহী সুলতানপুর গ্রামে, যা আজও মর্যাদাপূর্ণ বংশের জন্য সুপরিচিত।
সেই ঐতিহ্যের গর্বিত উত্তরসূরি টিপু সুলতান আজ মেটলাইফ বাংলাদেশের একজন সফল ও দক্ষ ইউনিট ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কর্মদক্ষতা, সততা ও নেতৃত্বগুণে তিনি ইতিমধ্যেই সবার আস্থাভাজন হয়ে উঠেছেন। প্রতিষ্ঠানটির সর্বোচ্চ পদগুলোর একটি ব্রাঞ্চ ম্যানেজার পদে পদোন্নতির দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। খুব শিগগিরই সেই দায়িত্ব গ্রহণ করে নিজের কর্মজীবনের নতুন অধ্যায় সূচনা করতে যাচ্ছেন।
শুধু কর্পোরেট অফিসেই নয়, সাফল্যের পদচিহ্ন রেখেছেন দেশের বিভিন্ন প্রান্তেও। হবিগঞ্জের দ্য প্যালেস লাক্সারি রিসোর্ট, মৌলভীবাজারের গ্র্যান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ, কক্সবাজারের হোটেল দ্য কক্স টুডে, সায়েমান বিচ রিসোর্ট, লং বিচ হোটেল, রয়েল টিউলিপ সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা ও ওশান প্যারাডাইস হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট, ব্র্যাক সিডিএম, বগুড়া মোমো ইন–এসব বিলাসবহুল হোটেল থেকে শুরু করে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, সাজেক ভ্যালি ও সুন্দরবনের মতো পর্যটনকেন্দ্রে তার উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। এছাড়া ঢাকার শীর্ষস্থানীয় ফাইভ স্টার হোটেল হোটেল সোনারগাঁও, র্যাডিসন ব্লু, ওয়েস্টিন ও লে মেরিডিয়ান–এ অংশ নিয়েছেন নানা কর্পোরেট কনফারেন্স ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে।
দেশের বাইরে তাঁর সাফল্যের পদচিহ্ন ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর নানা প্রান্তে। ভারত, নেপাল, থাইল্যান্ড, পাতাইয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া ও সৌদি আরবসহ একাধিক দেশে ভ্রমণ করেছেন তিনি এবং পরিবারসহ সৌদি আরবে গিয়ে সম্পন্ন করেছেন পবিত্র উমরাহ। বিদেশে ঈদ উদযাপন শেষে দেশে ফিরে এসেছেন নতুন উদ্যমে।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, চিন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র, বসুন্ধরা কনভেনশন সেন্টার, হোটেল সোনারগাঁও ও হোটেল র্যাডিসন–এ তিনি বহুবার সম্মাননা অর্জন করেছেন।
তিনি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসতে চান না, বরং গোপনে সমাজসেবামূলক কাজ করে চলেছেন নিরবে। গ্রামের গরিব ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর নিয়মিত অভ্যাস। অসহায় পরিবারগুলো যখন অভাব-অনটনের চাপে দিশেহারা, তখন তিনি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন বিনা প্রচারণায়।
বিশেষ করে এলাকার মসজিদে অর্থসহায়তা করছেন, যেন আল্লাহর ঘর আলোকিত থাকে। শুধু তাই নয়, কিছু পরিবার যখন স্বপ্ন দেখে একটি ছোট্ট ঘর বানানোর, তখন তাদের সেই স্বপ্ন পূরণে আর্থিক সহায়তাও দিয়ে আসছেন তিনি। পলাশ থানার অনেক পরিবারই আজ তাঁর সহযোগিতার কারণে আশার আলো দেখতে পাচ্ছে।
নিজের দীর্ঘ পথচলার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মোঃ টিপু সুলতান বলেন–
“আমি গর্বিত যে, বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে থেকেও একটি গ্লোবাল কোম্পানির অংশ হতে পেরেছি। মেটলাইফ শুধু আমার ক্যারিয়ার নয়, আমার জীবনধারাও বদলে দিয়েছে। পরিবার, সমাজ ও দেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা আমার জন্য সবচেয়ে বড় অর্জন।”
তিনি আরও বলেন– “মেটলাইফ–এ কাজ করার মানে শুধু চাকরি নয়; এটি একটি আন্তর্জাতিক পরিবারের অংশ হওয়া। এখানে যেমন সীমাহীন পেশাগত বিকাশের সুযোগ আছে, তেমনি আছে মানসিক প্রশান্তি, সামাজিক দায়িত্ব পালন ও ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা। যারা স্বপ্ন দেখে এবং পরিশ্রমী, তারা অবশ্যই এই খাতকে বেছে নিক–কারণ এখানে সীমাহীন সম্ভাবনা অপেক্ষা করছে।”
বীমাকে তিনি দেখেন কেবল ব্যবসা হিসেবে নয়, বরং মানুষের ভবিষ্যৎ সুরক্ষার এক দায়িত্ব হিসেবে। তাই সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে প্রতিটি সদস্যকে গড়ে তুলছেন, সমাজকে নিরাপদ করছেন এবং আগামী প্রজন্মকে সঠিক দিকনির্দেশ দিতে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
আজ গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছেন ঐতিহ্যবাহী সুলতানপুরের এই সন্তান। তাঁর কর্মদক্ষতা ও নিষ্ঠা দেশের তরুণ প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছে এক অনুপ্রেরণার প্রতীক।