কলকাতায় চিকিৎসককে ধর্ষণের পর হত্যার মামলায় পুলিশ সদস্য দোষী সাব্যস্ত, রায় সোমবার
আসছিলেন, অন্য কোথাও গণধর্ষণ ও খুনের পর মরদেহ সেমিনারকক্ষে এনে রাখা হয়।
এসব ঘটনার প্রতিবাদে চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন কলকাতার সল্ট লেকের সিজিও কমপ্লেক্স বা সিবিআই দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেছে। তারা অবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অভিযোগপত্র দেওয়ার দাবি জানায়।
এর আগে চিকিৎসকেরা গত বছরের ৫ থেকে ২১ অক্টোবর কলকাতার ধর্মতলায় অবস্থান ধর্মঘটে বসেছিলেন। নারী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের পর ৯০ দিন কেটে গেলেও আর জি কর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দ্বীপ ঘোষসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযোগপত্র না দেওয়ায় জামিন পেয়ে যান অধ্যক্ষ।গত বছরের ৯ আগস্ট রাতে আর জি কর হাসপাতালের সেমিনারকক্ষে ওই নারী চিকিৎসকের মরদেহ পাওয়া যায়। তাঁকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়। এই খুনের ঘটনায় পরদিন ১০ আগস্ট পুলিশ সঞ্জয় রায় নামের একজন সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে। ১৩ আগস্ট এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্ট। ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে নানা কর্মসূচি পালিত হয়। ২ সেপ্টেম্বর আর্থিক দুর্নীতি ও তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন আর জি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষ সন্দ্বীপ রায় ও টালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অভিজিৎ মণ্ডল।
আজ সঞ্জয়কে দোষী সাব্যস্ত করে আদালতের রায় ঘোষণার আগে সিবিআইর আইনজীবী পার্থ সারথী দত্ত বলেন, ‘দোষী ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি হলে আমরা বুঝব, এই হত্যাকাণ্ডে ন্যায়বিচার হয়েছে। তবে সিবিআই এই মামলার নথিপত্র লোপাটের তদন্ত চালিয়ে যাবে।’
দোষী সাব্যস্ত আসামি সঞ্জয় রায়ের আইনজীবী সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘সর্বোচ্চ সাজা হলে আমরা উচ্চ আদালতে যাব।’
ইতিমধ্যে এই হত্যা ও ধর্ষণ মামলার পুনঃ তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন নিহত ওই নারী চিকিৎসকের বাবা–মা। আগামী ১৭ মার্চ সেই আবেদনের শুনানি হবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে।
ওই চিকিৎসকের বাবা–মা বলছেন, ‘যুদ্ধের শেষ পরিণতি আমরা দেখে ছাড়ব। শুধু একজন এই ঘটনা ঘটাতে পারে না। সিবিআইকে অন্য অপরাধীদেরও খুঁজে বের করতে হবে।’