প্রতিনিধি 26 November 2024 , 11:40:54 প্রিন্ট সংস্করণ
সৈয়দ রাসেল, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)
কলাপাড়ায় মিথ্যা মামলা, চাঁদাবাজী ও হয়রানি থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য সংবাদ সম্মেলন করেছে আব্দুল করিম গাজী। মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় কলাপাড়া সাংবাদিক ফোরাম কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে মোঃ করিম গাজীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার নাতি মোঃ জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি একজন বয়বৃদ্ধ মানুষ বিভিন্ন রোগে-শোকে জর্জরিত। আমার ৫ ছেলে ৩ কন্যা। আমার ছোট ছেলে-মোঃ রাকিবুল ইসলাম ওমানী দীর্ঘ ১৮ বছর যাবৎ বিদেশে (উমান) শ্রমিকের কাজে কর্মরত। আমার ছেলে মোঃ রাকিবুল ইসলাম ওমানী শ্রমের আয় দ্বারা নিজস্ব অর্থায়নে গরীব ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার সুবিধার্থে কলাপাড়া উপজেলার চাকামইয়া ইউনিয়নের হোসনাবাদ নিজস্ব গ্রামে মসজিদ সহ একটি মাদ্রাসা নির্মান করি। উক্ত মাদ্রাসার শিক্ষার পরিবেশ ভালো হওয়ার কারণে দূর দূরত্বের ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হতে শুরু করে। মাদ্রাসার পাশেই একটি কচুপাত্র খাল রয়েছে। উক্ত খাল পাড় হয়ে ছাত্র-ছাত্রী অত্র মাদ্রাসায় ভর্তি হন। আমার ছেলে মোঃ রাকিবুল ইসলাম ওমানী ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়া ও যাতায়াতের সুবিধার্থে কচুপাত্র খাল পাড়াপারের জন্য একটি খেয়ার ব্যবস্থা করে দেয়। উক্ত খেয়াঘাটের উপার্জিত আয় মসজিদে দান করেন। এলাকার কন্ডিশয় অসাধু ব্যক্তি মাহাবুব আকন, মোঃ রুবেল আকন, মোঃ ছালাম আকন সহ ৩/৪ জন ব্যক্তি প্রতিদিন বিনা পয়সায় উক্ত খেয়া পাড়াপার হয়ে থাকে। আমরা বিনা পয়সায় খেয়া পারাপারে বাঁধা নিষেধ করলে আমাদের উপর আক্রোশমূলক মনোভাব পোষন করে আসতে থাকে এবং আমার ও আমার পরিবারের লোকজনের সহিত অহেতুক কথার কাটাকাটি করে অশ্লিল অশোভনীয় আচরন করে আসতে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় আমাদের আর্থিক ক্ষতি সাধন ও মান-সম্মানের হানি ঘটানোর চেষ্টায় লিপ্ত থাকে।
তিনি আরো বলেন, ১৬/০৮/২০২৩ ইং তারিখে চাকামইয়া হোসনাবাদ গ্রামের নুর মোহাম্মাদ আকনের পুত্র মোঃ ছালাম আকন বাদি হয়ে মিথ্যা কাগজ তৈরি করে আমাকে সহ আমার ছেলে মোঃ রাকিবুল ইসলাম ওমানীকে জড়িত করে বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশে পাঠানোর উল্লেখ করে সি.আর ৯৫০/২৩ নং একটি মিথ্যা মামলা করে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনের মান-সম্মানের হানি ঘটায়। উক্ত মামলা দীর্ঘদিন বিজ্ঞ আদলতে চলমান থাকার পরে স্বাক্ষী প্রমানে মিথ্যা প্রমানিত হয়। অতঃপর উক্ত মিথ্যা বানোয়াট জালিয়াতী কাগজের বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সি.আর ১০৫১/২৩ নং মামলা আনায়ণ করি। যার ধারা- ৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৫০৬ (খ) দঃ বিঃ। উক্ত মামলা বিজ্ঞ আদালত সহকারী পুলিশ সুপার, কলাপাড়া পটুয়াখালীতে তদন্তভার অর্পন করিলে উহা সত্যতা প্রমানিত হওয়ার পর মামলাটি বিজ্ঞ আদালত আমলে নিয়া আসামীদের অর্থাৎ (মাহাবুব আকন, মোঃ রুবেল আকন, মোঃ ছালাম আকন) এদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা ইস্যু করেন। যা পটুয়াখালী জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন আছে। অতঃপর মোঃ ছালাম আকন ইহাতে ক্ষিপ্ত হইয়া অর্থ ও পেশী শক্তির মাধ্যমে আমার ও আমার পরিবারের মান-সম্মান ধূলিস্যাৎ করার জন্য বিগত ০১/০৮/২০২৪ ইং তারিখে মোঃ ছালাম আকন বাদী হয়ে পূণঃরায় কলাপাড়া বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এবং বিদেশে নেয়ার কথা উল্লেখ করে সি.আর ১০৯৫/২৪ নং একটি মিথ্যা মামলা করে। বাদী মোঃ ছালাম আকন এর মিথ্যা মামলায় আমি ৭৫ বছর বয়সের বৃদ্ধা ১০দিন মিথ্যা অপবাদে জেলহাজত খেটেছি। যাহা ইতিহাসের নজিব বিহিন ঘটনা।
তিনি বলেন, মোঃ ছালাম আকন অর্থ ও ক্ষমতার দাপটে এখনো বসে নেই। আমার পরিবারকে চিরতরে বিলিণ করে দেয়ার জন্য সনামী-বেনামী লোকজন দ্বারা পথে-ঘাটে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনকে প্রায়ই ভয়-ভীতি ও হুমকী প্রদর্শন করে এবং আমার ছেলে মোঃ রাকিবুল ইসলাম ওমানীকে দেশে থাকাবস্থায় সরাসরি (মাহাবুব আকন, মোঃ রুবেল আকন ও মোঃ ছালাম আকন) পাঁচ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। ওই টাকা না দেয়ার পর্যন্ত আমাদের ক্ষতি করবে বলে সরাসরি জানিয়ে দিয়াছে। এছাড়া আমার নাতী মোঃ জাহিদুল ইসলামকে ৫ আগষ্ট-২৪ তারিখের পরে গুম ও খুনের ভয়-ভীতি প্রদর্শণ করে গত ১৯/১১/২০২৪ তারিখে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও অনালাইন নিউজে মিথ্যা মিথ্যিা ঘটনা রটাইয়াছে এবং আমাকে পাশের বাড়ীতে আটক করে অস্ত্রের মুখে খুনের চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পরে মুছলেকা দিয়ে ছিড়ে দেয়। বিয়ষটি প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অবগত করার জোর অনুরোধ করছি। উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচর সহ আমি ও আমার পরিবারের উপর দায়েরকৃত মিথ্যা হয়রানী মূলক মামলা-মোকদ্দমা থেকে পরিত্রান পাইতে পারি তার সুব্যবস্থা পেতে পারি।