সৈয়দ রাসেল, কলাপাড়া(পটুয়াখালী)
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে সংজ্ঞাহীন করে স্বর্ণ ও লক্ষাধিক টাকা লুটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউপির গামইরতলা গ্রামে মিজানুরের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা ভুক্তভোগী পরিবারের ৫ সদস্যকে উদ্ধার করে কলাপাড়া হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এদের মধ্যে মোঃ মিজানুর ঘরামী ও হামিদ বাঘা এখনো অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের শয্যায় রয়েছেন। তবে তার শাশুড়ী খাদিজা (৬০) স্ত্রীর বোনের মেয়ে কলেজ শিক্ষার্থী মারুফা (২৩) ও মিজানুরের ছেলে জিহাদের (১১) চেতনা ফিরে এসেছে।
মিজানুরের বাড়িতে বেড়াতে আসা কলেজ শিক্ষার্থী মারুফা জানান, রাতে তার খালু ও খালাতো ভাই খাবার খাওয়ার কিছুসময় পরই ঘুমিয়ে পরেন। এরপর রাত ১১ টার দিকে তিনি ও তার নানি খাবার খান। এর কিছু সময় পর তারাও ঘুমিয়ে পরেন। সকালে প্রতিবেশিরা এসে দেখেন ঘরের দরজা খোলা কোন লোকের সাড়া নেই। ওই সময় ঘরের সবাই সঙ্গাহীন অবস্থায় ছিলেন। কিন্ত ঘরের বেড়াকাটা এবং আলমারি খোলা ছিল।
মিজানুরের স্ত্রী ছাবিনা বেগম বলেন, তিনি ওই রাতে বাড়িতে ছিলেন না। সকালে এঘটনার খবর শুনে এসেছেন। তিনি আরও বলেন, তাদের খাবারের ঘর আলাদা। তাই অনুমান করছেন খাবারে চেতনানাশক মিশিয়ে দুর্বৃত্তরা তাদের ঘরের টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করেছে।
কলাপাড়া থানার ওসি মোঃ জুয়েল আহম্মেদ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি তবে কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।