প্রতিনিধি 17 March 2025 , 4:58:25 প্রিন্ট সংস্করণ
তোফাজ্জল ইসলাম
গত ১ ফ্রেব্রুয়ারি ২০২৫ রাত তিনটার সময় সেরমস্তপুর নতুন বাজার অটোগাড়ির ব্যাটারি ও সিএনজির ব্যাটারি খোলার সময় এলাকাবাসী হাতে নাতে ধরে পরে সুনামগঞ্জ খালি বাড়ির মতিউর (৪০)। রাত তিনটার সময় এলাকার স্থানীয় ড্রাইবারা সিরিয়াল ধরার জন্য সাচনা বাজার সিএনজি স্টেশন যায়। এসময় সেরমস্তপুর ব্রিজে একটি সাদা কার দেখতে পায় এলাকার সিএনজি ড্রাইবারা। গত কয়েক মাস ধরে এই এলাকার সিএনজি চুরি হয়েছে ১ টি — যা পাওয়া যায় নি এবং আরেক টি সিএনজি চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়া চুরের সদস্য সহ আটক করে সুনামগঞ্জ থানাপুলিশ। তবে এই এলাকার অটোগাড়ির ব্যাটারি চুরি হয়েছে ৫ সেট যার বাজার মূল্য ৩ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা এবং যে সিএনজি টি পাওয়া যায় নি এর আনুমানিক মূল্য ৫ লক্ষ টাকা। তাই এলাকার মানুষ সর্তকতার সহিত বসবাস করে। এরই দ্বারাবাহিকতায় ১লা ফ্রেব্রুয়ারি রোজ শনিবারে স্থানীয় ড্রাইবারা এই চুরকে হাতে নাতে আটক করে। পরের দিন সকালে গাড়ির মালিকসহ চুরের স্ত্রী আসলে এলাকার শ্যালিশ ব্যক্তিবর্গরা তাদের এলাকার চেয়ারম্যান ও শ্যালিশ ব্যক্তিদের নিয়ে আসার জন্য বলেন এবং তারা নিয়ে আসে। বিচারে চুর মতিউর স্বীকার করেন যে উনি চুরি করতে আসছিলেন এবং তিনি আরো অনেক চুরি করেছেন এই এলাকায়। তার ভাষ্য মতে তার সাথে আরো দুই জন ছিল যারা পালিয়ে গিয়েছে। পরে শ্যালিশ ব্যক্তিরা এলাকার ক্ষয়ক্ষতি আলোচনা করে এবং তাদের কাছে নগদ অর্থ না থাকায় একটি সিএনজি ও কার গাড়ি এলাকাবাসীর কাছে জিম্মি রেখে চলে যায়, আর বলে গেছেন যে নগদ টাকা দিয়ে গাড়ি ছাড়িয়ে নিবেন। কয়েক দিন পর এই চুর এলাকার শ্যালিশ ব্যক্তিবর্গের উপর মামলা করে। এলাকার শ্যালিশ ব্যক্তিবর্গেরা জানান চুর হাতে নাতে ধরার পর চুরের স্ত্রী ও বোনের কথায় পুলিশে না দিয়ে শ্যালিশ করার আজ শ্যালিশ ব্যক্তিবর্গের উপর আইনের হয়রানি। ১৬ মার্চ সুনামগঞ্জ ডিবি পুলিশ ঘটনা তদন্ত করেন। এলাকাবাসীর মন্তব্য, চুরেরা চুরি করে হাতেনাতে ধরার পর ও আইনের এমন সহায়তা চুরদের সাহসিকা বৃদ্ধি পাবে এবং সমাজে অহরহ চুরি হবে অশান্তি সৃষ্টি হবে। তাই চুরি শাস্তি দাবি জানান এলাকাবাসী।