কালিয়া প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত বাবর আলীর বিরুদ্ধে থানায় জিডি করলেন ইউপি চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক:

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার বড়নাল ইলিয়াসবাদ ইউনিয়নে বাবর আলী নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি,হুমকি ও সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে।এসব ঘটনায় এলাকায় তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মল্লিক মনিরুল ইসলাম অভিযুক্ত বাবর আলীর বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ( ১ জুলাই) থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।জিডিতে চেয়ারম্যান উল্লেখ করেন,বাবর আলী মোবাইল ফোনে কল করে ইলিয়াসবাদ ইউনিয়নের একটি সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পে কথিত অনিয়মের অভিযোগ তুলে চাঁদা দাবি করেন।পরবর্তীতে তিনি সরাসরি প্রকল্পস্থলে গিয়ে কর্মরত শ্রমিকদের গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান।চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম জানান, “সড়কটি খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত হলেও এলজিইডির আওতায় থাকায় ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে কাজটি বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তাই আমি ব্যক্তিগত অর্থায়নে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের জন্য কাজটি করেছি। অথচ বাবর আলী সাংবাদিক পরিচয়ে এসে অনিয়মের অভিযোগ তোলে এবং বিষয়টি চেপে যেতে চাঁদা দাবি করে।”স্থানীয় বাসিন্দা মিকাইল মোল্লা, আজি শেখ জানান,বাবর আলী দীর্ঘদিন ধরে সাংবাদিকতার নামে নানা অপকর্মে জড়িত। ব্যবসায়ী, ঠিকাদার ও জনপ্রতিনিধিদের ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে পুরনো। তিনি কোনো স্বীকৃত গণমাধ্যমে কর্মরত নন এবং কোনো সাংবাদিক সংগঠনের বৈধ সদস্য বলেও প্রমাণ পাওয়া যায়নি।জানা গেছে, এর আগেও বাবর আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলায় কারাদণ্ড হয় এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে কালিয়া প্রেস ক্লাব থেকেও বহিষ্কার করা হয়েছে।কালিয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ শেখ বলেন, “আমরা পেশাদার সাংবাদিকতার নীতিমালার বাইরে কাউকে ছাড় দেই না। বাবর আলীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ওঠায় ক্লাব থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।”কালিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ইউপি চেয়ারম্যান একটি জিডি করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”অভিযুক্ত বাবর আলী বলেন,স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি নিম্নমানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণের অভিযোগ জানান। অভিযোগের ভিত্তিতে আমার সহকর্মীকে নিয়ে সরেজমিনে গিয়ে কাজের ত্রুটি লক্ষ্য করি।এ বিষয়ে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মল্লিক মনিরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনের যোগাযোগ করা হলে তিনি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও হুমকি দেন। অডিওটি ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।