নিজস্ব প্রতিবেদক:
নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলার ইলিয়াছাবাদ ইউনিয়নে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদাবাজির অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।বাবর আলী নামে এক ব্যক্তি জনপ্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছেন বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানায়, বাবর আলী সম্প্রতি ইলিয়াসবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মল্লিক মনিরুল ইসলামের কাছ থেকে একটি রাস্তার উন্নয়ন প্রকল্পে ‘অনিয়ম’ ফাঁস না করার শর্তে চাঁদাবাজি করেছেন। চেয়ারম্যান মল্লিক মনিরুল ইসলাম স্পষ্ট করে বলেন, প্রকল্পে কোনও অনিয়ম নেই, এটি নিজ উদ্যোগে বাস্তবায়ন করেছেন। এর পর বাবর আলী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে মানহানির চেষ্টা করেছেন।স্থানীয়রা জানান, এর আগেও বাবর আলীর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে মামলা হয়েছে এবং তাকে জেলও খেটতে হয়েছে। এছাড়া, কালিয়া প্রেস ক্লাব তাকে বহিষ্কার করেছে।এ ঘটনায় কালিয়া উপজেলার স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন, যাতে সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হয় এবং প্রকৃত সাংবাদিকদের সম্মান রক্ষা পায়।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: রাশেদুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে অবগত আছি।অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি আমি বিষয়টি দেখব।কালিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোর্শেদ শেখ বলেন,প্রেসক্লাব সর্বদা পেশাদার সাংবাদিকতার আদর্শে বিশ্বাসী এবং নৈতিকতা, সততা ও দায়বদ্ধতার ভিত্তিতে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। আমাদের ক্লাব কারও ব্যক্তিগত স্বার্থ রক্ষার স্থান নয়,বরং এটি একটি সম্মানজনক পেশার প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন।বিভিন্ন সময় সদস্যদের আচরণ মূল্যায়নের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে নানা অনিয়ম ও অভিযোগ, বিশেষ করে চাঁদাবাজির মতো গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সর্বসম্মতিক্রমে বাবর আলীকে ক্লাব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের মর্যাদা রক্ষার স্বার্থে এবং ক্লাবের সুনাম ও ঐতিহ্যকে অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য।আমরা চাই,সকল সাংবাদিক সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করবেন এবং কোনো সদস্য যেন ক্লাবের নাম ব্যবহার করে অপকর্মে লিপ্ত না হন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
অভিযুক্ত বাবর আলীর বক্তব্য নেওয়ার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।