প্রতিনিধি 28 March 2025 , 5:09:04 প্রিন্ট সংস্করণ
নিজাম উদ্দীন
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলা সদরের বড়বাজারে এক হিন্দু মালিকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মালিকপক্ষের অভিযোগ, অন্যের কাছে ভাড়া দেওয়া দোকানটি ভাড়াটেকে বের করে দিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহল দোকানে তালা দিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছে।
জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও থানায় লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী পরিবারটি।বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।
সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিক নিতাই চন্দ্র বণিকের ভাই গৌরাঙ্গ বণিক লিখিত বক্তব্যে বলেন, তার ভাই নিতাই চন্দ্র বণিক ২০০০ সালের ১৪ জুন সোনাই দীঘিরপাড় এলাকার আব্দুল হেকিমের কাছ থেকে অষ্টগ্রাম বড় বাজারে আধা শতাংশ জায়গাসহ দোকানটি কিনেছিলেন। যার বর্তমান খতিয়ান নম্বর ২১৪৫ ও দাগ নম্বর ১০১০।বিক্রেতা আব্দুল হেকিম ও ক্রেতা নিতাই বণিক ইতোমধ্যে মারা গেছেন। প্রয়াত নিতাই বণিকের ছেলে মানিক চন্দ্র বণিক ও তার ভাই আরাধন চন্দ্র বণিকের নামে দোকানটি খারিজ করা হয়েছে। দোকানটি এলাকার জসিম মিয়ার কাছে ভাড়া দেওয়া ছিল। তিনি মোবাইল ফোন ও ইলেক্ট্রনিক সামগ্রির ব্যবসা করছিলেন। এ ভাড়াটিয়া জসিম মিয়াকে গত ৭ ফেব্রুয়ারি মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ওয়াজ মিয়া, দানা মিয়া ও জয় মিয়ারা বের করে দিয়ে দোকানে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন। তাদের বাবা আব্দুল হেকিমের নাম লেখা ব্যানারও ঝুলিয়ে দিয়েছেন।এখন দখলদাররা তাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছেন। ফলে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলা প্রশাসকের কাছে দোকান দখলের অভিযোগ জানিয়ে লিখিত আবেদন করেছেন। অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং থানার ওসির কাছেও আবেদন করেছেন।
মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে ওয়াজ মিয়া জানান, নিতাই চন্দ্র বনিকের কাছে আধা শতাংশ জায়গা বিক্রি করা হলেও তাদের দখলে বাড়তি আরও আধা শতাংশ জায়গা রয়েছে। এই বাড়তি জায়গাটুকু ছেড়ে দেওয়ার জন্য বারবার বলার পরও তারা জায়গা ফেরত দিচ্ছেন না। এ জন্য তালা দেওয়া হয়েছে। তবে মানিক বণিকদের ক্রয় করা জায়গা অক্ষত আছে। আর ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে পাশের জায়গায়। ১৪৪ ধারা ভেঙে আমরা কোনো কাজ করিনি। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে।
অষ্টগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, ‘এ বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ আমরা বসে ছিলাম কিন্তু মিমাংসা করতে পারিনি। বর্তমানে বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন।’