অন্যান্য

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে সেটটিক ট্যাংকের থেকে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার আটক-৪

  প্রতিনিধি 8 September 2025 , 5:30:43 প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে প্রতিবেশীর বাড়ির সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে ৮ বছরের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের অভিযোগ বলাৎকারের পর তাকে হত্যা করে লাশ গোপন করতেই সেপটিক ট্যাংকের ভেতরে রেখেছে প্রতিবেশী পাষণ্ড যুবক। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক মমিনুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের ছিট মালিয়ানি এলাকায়।
নিহত শিশু মুরসালিন মিয়া (০৮) ওই এলাকার মশিউর রহমান মুছা ও মনজু দম্পতির ছোট ছেলে। আর অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম (২২) পার্শ্ববর্তী ফরিদ উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মমিনুল ইসলামের মা মহসেনা বেগম ও বোন ফাহিমা খাতুনকে এবং মমিনুলের পরিবারকে প্রশ্রয় দিয়ে পালানোর সহযোগিতা করায় প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মঞ্জু বেগমকেও আটক করেছে পুলিশ।

নিহত শিশু মুরসালিনের পরিবার অভিযোগ করে জানায়, ঘটনার দিন শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মুরসালিনের বাড়িতে তার বড় ভাই মিমের বিয়ের আলোচনা চলছিলো। এ সময় মমিনুল ইসলাম মুরসালিনকে একাধিকবার ডেকে পাঠায়। পরে সে এক সময় নিজে ডেকে নিয়ে তার ঘরের ভেতরে দরজা বন্ধ করে মোবাইলে ভিডিও প্রলোভনে বলাৎকার করে হত্যা করে ।
তারা জানান,শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মুরসালিনের মা ছেলেকে না পেয়ে খোঁজাখুজি শুরু করেন। খোঁখুঁজির এক পর্যায়ে মমিনুলের বাড়িতে গিয়ে মুরসালিনের কথা জিজ্ঞাসা করলে মমিনুল ও তার মা মহসেনা বেগম মুরসালিনকে দেখেনি বলে জানায়। কিছুক্ষণ পর আবারও গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে তারা দরজায় তালা লাগিয়ে সটকে পড়ে নানা মহর উদ্দিনের বাড়িতে গিয়ে আত্মগোপন করে। এক সময় বিষয়টি জানাজানি হলে মমিনুলের মা মনজু বেগম ও নানী মেহরা বেগম প্রতিবেশী নজরুল ইসলাম ও আজির রহমানের বাড়িতে আত্ম গোপন করে।
এরই মধ্যে গতকাল মুরসালিনকে না পেয়ে শুক্রবার এলাকায় মাইকিং করে তার পরিবার। পরদিন শনিবার খোঁজাখুজির এক পর্যায়ে রাত ৮টার দিকে মমিনুলের বাড়ীর পেছনের সেপটিক ট্যাংকে পায়ের অংশ দেখতে পায় প্রতিবেশীরা। পরে ৯৯৯ এ ফোন করলে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ সময় মমিনুলের মা, বাবা, বোন, নানা, নানি নজরুলের বাড়ি থেকে পালানোর চেষ্টা করেন। এ সময় বিক্ষুব্ধ জনতা মমিনুলের নিজ বাড়ি ও তার নানার বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়।
অভিযুক্তদের প্রশ্রয় দেয়ায় নজরুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মনজু বেগম এবং মমিনুলের মা মহসেনা বেগম ও তার বোন ফাহিমা খাতুনকে (১৮) আটক করে থানায় নিয়ে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মমিনুল ও তার নানার বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নেভালেও ততক্ষণে সবকিছু পুড়ে ভস্মিভ‚ত হয়ে যায়। এদিকে মুল অভিযুক্ত মমিনুল ইসলাম পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। এছাড়াও মমিনুলের বাবা ফরিদ উদ্দিন, ভায়রা আব্দুল্লাহ, শ্যালক মাসুম মিয়াও পলাতক রয়েছে।
এ ঘটনায় থানায় একটি এজাহায় দায়ের করা হয়েছে।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ