অন্যান্য

কুড়িগ্রামে তাপমাত্রার সাথে কমছে ক্রয় ক্ষমতা, ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস 

  প্রতিনিধি 13 December 2024 , 11:29:26 প্রিন্ট সংস্করণ

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু

 

কুড়িগ্রামে স্বাভাবিক জীবন যাত্রা, ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমে এসেছে। দিন দিন কর্মহীন মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। নিম্ন শ্রেণীর মানুষের দুমুঠো ভাত যেন বিলাসিতা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খাবার এবং গরম কাপড় কেনার টাকার সংকটে নিদারুণ কষ্টে কাটছে খেটে খাওয়া মানুষের সংসার। সরকারি বা বেসরকারি সহযোগিতার অপ্রতুল সংকটে দিন পার করছে চরাঞ্চল এবং স্বল্প আয়ের মানুষের জীবন।

 

কুড়িগ্রামে জেঁকে বসছে শীত। ঘনকুয়াশার সঙ্গে হিমেল বাতাসে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। কনকনে ঠান্ডায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। ঠান্ডায় গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্ররা খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত কুয়াশার চাদরে ঢাকা থাকছে সমগ্র জেলা।

 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল ছিল ১৪.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চার দিন ধরে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় দেখা মেলেনি সূর্যের। অনেকটা স্থবির হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা। হিমেল বাতাস, তীব্র শীত ও কুয়াশায় বিপাকে পড়েছে জেলার নদী-তীরবর্তী চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষজন। ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

 

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শীতার্ত মানুষের জন্য শীতবস্ত্র কিনতে ২৭ লাখ টাকা ও ১২ হাজার পিস কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে উপজেলাসমূহে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

এদিকে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে হাসপাতালে বৃদ্ধি পাচ্ছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত জ্বর, সর্দি, কাশি, শ্বাসকষ্ট, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে শিশু ও বয়স্কদের সংখ্যাই বেশি।

 

সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের কলেজ মোড় এলাকার মানিক বলেন, কয়েকদিন ধরে এ অঞ্চলে খুব কুয়াশা ও ঠান্ডা। ঠান্ডার কারণে এখানকার খেটে খাওয়া মানুষগুলো কষ্টে পড়েছে। সরকারি বা বেসরকারিভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ আমার নজরে আসে নাই। এখানে জরুরিভিত্তিতে শীতবস্ত্র বিতরণ দরকার।

 

কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. শাহিনুর রহমান সর্রদার শিপন বলেন, কুড়িগ্রামে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে হাসপাতালে বয়স্ক ও শিশুরা শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। আমরা যথাযথভাবে চিকিৎসা প্রদান করছি।

 

কুড়িগ্রাম আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, চলতি মাসের ১৫-১৬ তারিখের পর তাপমাত্রা আরও কমে দু-তিনটি শৈত্যপ্রবাহ এ জেলার উপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ