অন্যান্য

কুড়িগ্রামে ২ বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয় নি রাস্তা পাকাকরণ 

  প্রতিনিধি 8 December 2024 , 12:20:08 প্রিন্ট সংস্করণ

 

আনোয়ার সাঈদ তিতু

 

 

নির্ধারিত সময়ের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও শেষ করা হয়নি ছাব্বিশ শত বেয়াল্লিশ মিটার রাস্তা পাকাকরণের কাজ। কাজের ৬০ শতাংশ শেষ করলেও অভিযোগ উঠেছে সেখানে ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের খোয়া এবং রাস্তার পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণেও করা হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম।

 

এলাকাবাসী নানা ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করলেও কাজ সম্পূর্ণ করতে তদারকি নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।

 

ঘটনাটি কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কদমতলা পাঁচমাথা (সুকদেব) মানাবাড়ি ভায়া গোলাপ ডিলারের বাড়ি পর্যন্ত সড়ক উন্নয়নকরণ প্রকল্প।

 

অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রকল্পটির মূল্য ১ কোটি ৯১ লাখ ৯১ হাজার ৬১২ টাকা হলেও, চুক্তি মূল্য ছিল ১ কোটি ৮২ লাখ ৩২ হাজার ৩২ টাকা। গত ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের উলিপুরের ঠিকাদার প্রিন্স মুরাদ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্স কাজটি শুরু করেন। পরে ২০২৪ সালের ১৬ জানুয়ারি কাজ শেষ করার সময় বেঁধে দেন কর্তৃপক্ষ।

 

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও কাজের ৬০ শতাংশ শেষ করেননি। গত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আমলে দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দায়সারা কাজ করে দুই দফায় ৪০ শতাংশ টাকা উত্তোলন করেও রাস্তার বাকি কাজ শেষ না করে ফেলে রাখেন।

 

এ নিয়ে সাংবাদিকরা লেখালেখি করলে প্রিন্স মুরাদ কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড বিল্ডার্সের স্বত্বাধারীকারী মুরাদ হোসেন কাজ না করে বন্ধ রাখেন। কাজ বন্ধ রাখায় স্থানীয় সরকার ও সড়ক বিভাগ রাজারহাট উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী তাকে শোকজ করেন।

 

গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পট-পরিবর্তনের পরে তড়িঘড়ি করে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ শুরু করেন এবং রাস্তার পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণেও করা হয়েছে ব্যাপক অনিয়ম।

 

এতে স্থানীয় জনসাধারণ ক্ষুব্ধ হলে সাংবাদিকরা নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ করার অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে সাংবাদিককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে কাজটি বন্ধ রাখেন। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এই কাজ শুরু থেকে নয়ছয় হয়ে আসছে।

 

মানাবাড়ি ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী সরকার এ সাইটের ম্যানেজারি দায়িত্ব পালন করায় এতদিন এই কাজের অনিয়ম নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে দায়সারা কাজ করে বিল উত্তোলন করতে চেয়েছিলেন। কাজের ধীরগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মুরাদ হোসেন সাংবাদিককে জানান, কাজের ফান্ড না থাকায় কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে রাজারহাট এলজিআরডির প্রকৌশলী সোহেল রানা বলেন, রাস্তার কাজটি শেষ করতে ঠিকাদারকে একাধিকবার চাপ দিয়েছি। দ্রুত কাজটি শেষ করতে না পারলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ