অন্যান্য

কেরুজ চিনিকলের নিরাপত্তা কর্মীরা অবহেলিত: কর্তৃপক্ষের নজর নেই

  প্রতিনিধি 19 August 2025 , 4:09:32 প্রিন্ট সংস্করণ

চুয়াডাঙ্গার ঐতিহ্যবাহী কেরুজ চিনিকলের নিরাপত্তা বিভাগের অবস্থা হযবরল। হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা দিন হাজিরায় কাজ করে অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছেন। ১৯৩৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই চিনিকলের চারটি বিভাগের বিশাল এলাকায় নিরাপত্তা কর্মী বর্তমানে মাত্র ৬০ জন, যার মধ্যে স্থায়ী কর্মী মাত্র ২ জন এবং বাকি ৫৮ জন দিন হাজিরায় চুক্তিভিত্তিক কাজ করেন। স্থায়ী কর্মীদের মধ্যে একজন চলতি বছরের ১৯ অক্টোবর অবসরে যাবেন, ফলে এই সংখ্যা কমে ১ জনে দাঁড়াবে। জানা গেছে, ২০০৭ সালে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সেটআপ সংশোধনের পর থেকে এই বিভাগে স্থায়ী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগও রয়েছে। মাত্র ৪৯০ টাকা ৩৮ পয়সা দিন হাজিরায় কাজ পেতে কর্মীদের মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

দেড় বর্গ কিলোমিটার আয়তনের ১৬৭ একর বিশাল এলাকায় মাত্র ৬০ জন নিরাপত্তা কর্মী কাজ করছেন, যাদের মধ্যে ৩ জন হাবিলদার এবং একজন মাত্র নিরাপত্তা পরিদর্শক দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি বোমা উদ্ধারের ঘটনার পর গেটের সংখ্যা বাড়ানো হলেও নিরাপত্তা কর্মীর সংখ্যা বাড়ানো হয়নি। গেটগুলোতে ৩ শিফটে প্রায় ৯০ জন কর্মী প্রয়োজন হলেও বর্তমানে সেই অনুযায়ী কর্মী নেই। এর ফলে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিঘ্নিত হচ্ছে। কর্মীদের অভিযোগ, তারা কেরুজ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত না হওয়ায় তাদের দাবি তুলে ধরার কোনো সুযোগ নেই। তাদের বেতন-ভাতা স্থায়ী কর্মীদের প্রায় অর্ধেক এবং ৪৯০ টাকা দিন হাজিরার মধ্যেই তাদের নিজেদের পোশাক, জুতা, ছাতা ও লাইট কিনতে হয়। কোনো প্রকার ছুটি ব্যবস্থা নেই, অসুস্থ হলে বা কর্মস্থলে উপস্থিত না হলে হাজিরা কর্তন করা হয়। বোনাস, লাভজনক ভাতা বা চিকিৎসা ভাতা দেওয়া হয় না এবং অতিরিক্ত সময়ের কাজের জন্য বাড়তি বেতন বা ভাতারও কোনো ব্যবস্থা নেই।

কর্মীরা গত ৩ জুন তাদের বেশ কিছু দাবি লিখিতভাবে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে জমা দিলেও এখনো পর্যন্ত এর কোনো সুরাহা হয়নি। সুধীজনেরা মনে করেন, হাজার হাজার কোটি টাকার সম্পদ রক্ষার দায়িত্বে থাকা চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের স্থায়ী করার কোনো বিকল্প নেই। এ বিষয়ে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসান বলেন, ক্ষেত্রবিশেষে কর্মীদের পোশাক, জুতা ও ওভারটাইম দেওয়া হয়ে থাকে। তিনি আরও বলেন, এই মূল্যবান সম্পদ রক্ষায় কর্মীদের স্থায়ী করার বিষয়ে সদর দপ্তরে আলোচনা করবেন।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ