প্রতিনিধি 18 June 2025 , 2:54:14 প্রিন্ট সংস্করণ
কেশবপুরে পাওনা টাকা চাওয়া নিয়ে বিরোধে হামলার শিকার যুবদল কর্মী মনিরুল ইসলামকে (৩৫) বাঁচানো যায়নি। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার সরসকাটি বাজারে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুরুতর আহত মনিরুলকে খুলনা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। আহত হন আরও ৩ জন। ঘটনার পর পুলিশ ৩ জনকে আটক করে।
আজ বুধবার (১৮ জুন) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুকোলে ঢলে পড়েন যুবদল কর্মী মনিরুল। এ খবরে কেশবপুরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ জানিয়েছে-পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।
নিহত মনিরুল ইসলাম উপজেলার বরণডালি গ্রামের আলী বক্সের ছেলে এবং স্থানীয় যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকালে কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী ইউনিয়নের সরসকাটি বাজারে পাওনা টাকা নিয়ে মনিরুল ও একই গ্রামের রেজা হাসান সবুজের অনুসারীদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে মনিরুল ছাড়াও কাশেম গাজী, জাকির হোসেন ও মিজানুর রহমান আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে মনিরুলের অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরপরই কেশবপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে বরণডালি গ্রামের রেজা হাসান সবুজ, লিটন হোসেন ও মশিয়ার রহমানকে গ্রেপ্তার করে।
চিংড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) শামীম হোসেন বলেন, ‘মনিরুলের ভাই মিজানুর বাদী হয়ে কেশবপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
এ বিষয়ে কেশবপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খান শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘মামলায় নাম উল্লেখ থাকা অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’