অন্যান্য

কোটি টাকার বকেয়া রেখে মিল মালিক পলাতক। পাওনাদারদের আহাজারি

  প্রতিনিধি 19 February 2025 , 6:27:25 প্রিন্ট সংস্করণ

 

মোঃ সাজ্জাদুল আলম,উপজেলা প্রতিনিধি কেন্দুয়া,

 

নেত্রকোনা কেন্দুয়ার চিরাং বাজারের অনিকা রাইসমিলের মালিক ফোরকানুদ্দিন সুখন সম্প্রতি পাওনাদারদের টাকা পরিশোধ করতে না পেরে মিলটি বন্ধ করে পালিয়ে গেছেন। তার এই আচরণের ফলে ধান ব্যবসায়ীদের প্রায় কোটি টাকা পাওনা ঝুলে আছে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ফোরকানুদ্দিন সুখন অগ্রণী ব্যাংক কেন্দুয়া শাখা থেকে ৬৮ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। ঋণের বিপরীতে মিলটি ব্যাংকের কাছে মর্টগেজ রাখা হয়।প্রাপ্য টাকা পরিশোধ না করায় এখন অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অনিকা রাইসমিলটি নিলামে তোলার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।

 

অপরদিকে, নিলামের কথা জানতে পেরে ক্ষতিগ্রস্ত ধান ব্যবসায়ীরা অর্থ ফেরত পাওয়ার জন্য কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ না দেখে চরম হতাশায় পড়েছেন। তারা দাবি করেছেন, মিলটি নিলামে তোলার পর যেন তাদের পাওনা টাকার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা হয়। এ দাবিতে ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা কেন্দুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছেন।

 

অভিযোগকারী কামাল উদ্দিন জানান, “আমরা প্রতিনিয়ত ফোরকানুদ্দিনের সাথে কাজ করতাম। তার উপর বিশ্বাস ছিল, কিন্তু এখন এই পরিস্থিতিতে আমরা দিশেহারা। ব্যাংক যদি শুধু ঋণ আদায় করে আর আমাদের টাকা না দেয়, তবে আমাদের অবস্থা খুবই খারাপ হবে।”

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। তবে এখনো কোনো নির্দিষ্ট সমাধানের পথ খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধান ব্যবসায়ীরা আশা করছেন, ব্যাংক কর্তৃপক্ষ এবং প্রশাসন তাদের এই সংকট থেকে মুক্তি দেওয়ার উপায় খুঁজে বের করবে।

 

অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি কেন্দুয়া শাখার সহকারী জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন, অনিকা রাইসমিলের নিলামে কোনো দরদাতা না পাওয়ায় নিলাম সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি। তিনি আরও বলেন, “আইনগত প্রক্রিয়াতেই পাওনা আদায়ের চেষ্টা করছি। ধান ব্যবসায়ীদের পাওনার দায় আমাদের নয়।”

 

এদিকে, ধান ব্যবসায়ীরা তাদের প্রাপ্য টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য প্রশাসন ও ব্যাংক কর্তৃপক্ষের সহায়তা কামনা করেছেন। তারা আশাবাদী, আইনগত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের পাওনা আদায় সম্ভব হবে।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ