চেতনায় বাংলাদেশ রিপোর্টঃ
যশোরসহ সারাদেশে মাদকের গডফাদারসহ শীর্ষ মাদককারবারি ৮৭ জনের তালিকা তৈরি করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ তালিকায় রাজধানীতে মাদক কারবারের গডফাদার সোহেল, সেলিম, ফাতেমাসহ ৮৭ জনের তথ্য উঠে এসেছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছেন রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পের পাইকারি হেরোইন ব্যবসায়ী মো. সোহেল ওরফে ভূইয়া সোহেল। তাকে মাদকের শীর্ষ গডফাদার হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন জেনেভা ক্যাম্পেরই পাইকারি ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসায়ী মো. সেলিম ওরফে সেলিম। গডফাদারের এ তালিকায় তিন নম্বরে এক নারীর নাম উঠে এসেছে। তিনি হলেন মিরপুর-১১ নাম্বারের পল্লবী এলাকার ইয়াবা কারবারি মোছা. ফাতেমা বেগম ওরফে ফতু (৪০)।
এছাড়া রয়েছেন মিরপুর-১ নাম্বারের শাহআলী এলাকার ইয়াবা গডফাদার ফতেহ (৪৪), রাজধানীর কলাবাগানের ইয়াবা-আইসের গডফাদার কাহরিয়ার ইসলাম শান্ত (৩০), জামালপুর জেলার ইসলামপুর থানার পাইকারি গাঁজা ব্যবসায়ীদের গডফাদার মন্টু শেখ, রাজধানী তুরাগ থানার বাউনিয়া বটতলা এলাকার পাইকারি গাঁজা ব্যবসায়ীদের গডফাদার মো. জয়নাল (৫৫), শাহবাগ থানার আনন্দ বাজার এলাকার সেক্রেটারিয়েট রোডের আইসের গডফাদার সৈয়দ আশিকুর রহমান সজল (২৯), ঢাকার সবুজবাগ থানার উত্তর বাসাবো এলাকার মাদকের গডফাদার মো. এহসানুল হক বাপ্পা (৩৫), ঢাকার সবুজবাগ থানার ওহাব কলোনির মাদক ব্যবসার গডফাদার মোসা. তানিয়া খাতুন (৪৫), ঢাকার লালবাগ থানার নাজিম উদ্দিন রোড এলাকার মাদক ব্যবসার গডফাদার মো. রাশেদ (৫১)। আরো রয়েছেন- পাবনা সদর থানার দোগাছি ইউনিয়নের গাঁজা ও ইয়াবার গডফাদার কমল দাস (৩১), বাগেরহাট থানার বেমরতা ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের গাঁজার শীর্ষ গডফাদার মো. মিজানুর রহমান (৪৫), সাতক্ষীরা সদরের মধুমোল্যাডাঙ্গীর গাঁজা ব্যবসায়ীদের গডফাদার মনজু বেগম (৩৯) এবং কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার ফিলিপনগর ইউনিয়নের হেরোইনের গডফাদার মো. আশাদুল হক (৪৯)। এছাড়া শীর্ষ মাদক চোরাকারবারির তালিকায় রয়েছেন- রাজধানী বনানীর কড়াইল বস্তি এলাকার ইয়াবা ও আইসের পাইকারি ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন (৩০), রাজধানীর বনানী থানার কড়াইল বস্তির পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. সবুজ আহম্মেদ (২৯), গুলশান-১ এলাকার ইয়াবা ও গাঁজার পাইকারি ব্যবসায়ী মো. লতিফ (৩৬), মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পের পাইকারি হেরোইন ব্যবসায়ী মো. হিরা (২৭), মোহাম্মদপুরের শেরশাহশুরি রোডের পাইকারি ফেন্সিডিল ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন (৪৩), মোহাম্মদপুরের সাত মসজিদ হাউজিং এলাকার পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায় মো. কালু ওরফে দাঁতভাঙা কালু (২২), রাজধানীর হাতিরঝিল থানার মহানগর প্রজেক্ট এলাকার পাইকারি গাঁজা ব্যবসায়ী মো. আবুল কালাম ফরাজী (৩৩), ঢাকার তেজগাঁও শিল্প এলাকার পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ী আব্দুল আমিন (৫১), গুলশানের পাইকারি গাঁজা ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান (২৪), ঢাকার কেরাণীগঞ্জ থানার পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ী এ কে এম মোকারিম (৫০), রাজধানী বনানীর কড়াইল বস্তির পাইকারি ইয়াবা ও আইচ ব্যবসায়ী মো. কামাল হোসেন (৩০), বনানীর কড়াইল বস্তির পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. সবুজ আহম্মেদ (২৯)। আরো রয়েছেন- গুলশান-১ এর পাইকারি ইয়াবা ও গাঁজা ব্যবসায়ী মো. লতিফ (৩৬), গুলশান-২ এলাকার গাঁজা ব্যবসায়ী মো. আলতাফ (১৯), ঢাকার ভাটারা থানার মাদক ব্যবসায়ী মো. নবী হোসেন (৪৭), ঢাকার চকবাজারের মাদক ব্যবসায়ী মো. আমান উল্লাহ রতন ওরফে চামারু রতন (৩৯), ঢাকার কোতয়ালী থানার গোয়ালনগর এলাকার মাদক ব্যবসায়ী শম্ভুনাথ সুর (৪৪), ঢাকার কামরাঙ্গীরচরের খুরশিদা বেগম ওরফে খুশি (৩৮)। এ তালিকায় আরো আছেন- টেকনাফের চৌধুরীপাড়া এলাকার আব্দুর রহমান বদি, চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থানার মো. সোলেমান (৫৭), চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার ইয়াবা ও বিদেশি মদের চোরাকারবারি মো. ইসমাইল (৪০), চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থানার ইয়াবা ও বিদেশি মদের চোরাকারবারি মো. জসিম উদ্দিন (৩৮), চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানার ইছানগর এলাকার গাঁজা ও ইয়াবা কারবারি মো. তাহের, চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানার গোয়ালপাড়া তুলাতলি এলাকার গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী আকলিমা (৩৫), একই এলাকার গাঁজা ও ইয়াবা ব্যবসায়ী মো. খোকন (৪৫), টেকনাফ সদরের লঙ্গুরবিল এলাকার জাফর আলম চেয়ারম্যান, টেকনাফ সদরের চৌধুরীপাড়া এলাকার মৌলভী মুজিবুর রহমান (৫৯), টেকনাফ সদরের আরিয়াবাদ এলাকার আব্দিুল আমিন (৪৩), একই এলাকার মাদক ব্যবসায়ী আব্দুস শুকুর (৩৮), টেকনাফ থানার হ্নীলা ইউনিয়সের সদস্য জামাল হোসেন, একই ইউনিয়সের সদস্য নুরুল হুদা, টেকনাফ থানার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের সদস্য মো. রাকিব আহমদ, টেকনাফ পৌরসভার দক্ষিণ লেঙ্গুরবিল এলাকার মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম।
খুলনা বিভাগে রয়েছেন যারা: খুলনা সদরের শামসুর রহমান রোডের পাইকারি ইয়াবা ব্যবসায়ী সৌরভ সাহা (২৭), যশোর জেলার কোতয়ালী থানার ষষ্ঠিতলা পাড়ার ইয়াবা ব্যবসায়ী মোছা. রেখা বেগম (৩৫)।