কামরুল হাসান সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধায় এসকেএস ফাউন্ডেশন Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Costal Areas of Bangladesh প্রকল্পের আয়োজনে দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট মানবিক সহায়তাকারী বিভিন্ন বেসরকারী প্রতিষ্ঠানসংস্থা/এনজিওর সমন্বয়ে বন্যার আগাম সাড়াদান কার্যক্রমের শিখন বিনিময় অনুষ্ঠিত হয়।

এসকেএস ফাউন্ডেশন GFFO Multi Hazard Anticipatory Action Initiatives প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালায় সুচনা বক্তব্য এবং উদ্বোধন করেন গাইবান্ধা জেলাত্রাণ ও পূনর্বাসনকর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিকুলইসলাম।

এসকেএস ফাউন্ডেশন Child-Centred Anticipatory Action for Better Preparedness of Communities and Local Institutions in Northern and Costal Areas of Bangladesh প্রকল্পের এন্টিসিপেটরী একশন বিষয়ে ধারণা উপস্থাপন করেন প্রজেক্ট ম্যানেজার মো: জালালউদ্দিন। এছাড়া এসকেএস ফাউন্ডেশন এর এন্টিসিপেটরী একশন তুলে ধরেন খন্দকার জাহিদ সরওয়ার সোহেল,উপ-পরিচালক,ডেভেলপমেন্ট প্রোগাম,এসকেএস ফাউন্ডেশন। জেলাত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত কর্মশালায় রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রজেক্ট অফিসার মো: সাইফুলইসলাম

প্রতিইউনিয়নের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা
কমিটির নিয়মিত সভা আয়োজনের জন্য সকলের দৃষ্টিআকর্ষণ করেন এবং এ বিষয়ে জেলাত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষণকরেন।

ওয়াল্ড ভিশনবাংলাদেশ এর প্রকল্প কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র রায় জানান,তাদের অর্গানাইজেশন এ সকল দুর্যোগে ২০% অর্থ রিজার্ভ থাকে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য। ওয়াল্ডভিশনফুডসাপোর্ট এর পাশাপাশি,সচেতনতাবৃদ্ধি এবংইয়ূথ চ্যাম্পিয়নএড্যুকেশনালসাপোর্ট দিয়ে থাকে। সৈয়দ মাহাবুর রহমান হীরক উপজেলা সমন্বয়কারী ।

শিখন বিনিময় কর্মশালায় আরও বলেন সকলের সম্মিলিত ভাবে কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে এবং বিকাশ একাউন্ট খোলার চ্যালেঞ্জ নিয়েও কথা হয়। ক্রিয়া প্রকল্পের ম্যানেজার লাভলী বেগম ইউনিয়ন দুর্যোগব্যবস্থাপনা কমিটির দায়-দায়িত্ব ও সচেতনা বিষয়ে ডি আর আর ও মহোদয়কে উদ্যোগ গ্রহনের অনুরোধ করেন।

ফুলছড়ি উপজেলা ফেডারেশনস ভাপতি মোছা: বীথি বেগম এবংকঞ্চিপাড়াইউনিয়ন ফেডারেশন সভাপতি মোছা: লাকী বেগম বন্যা পূর্বে ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট সাসেটেইনেবল এগ্রিকালচার এর উপর গুরুত্ব দেয়ার জন্য কর্মশালায়জানান।

কর্মশালায় উদ্দ্যোগ ফাউন্ডেশন এর নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান খন্দকার প্রস্তাব করেন জেলা দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসের জন্য সমন্বয় কমিটির নিয়মিত সভা জরুরি এবং গাইবান্ধায় দুর্যোগে সকলের উদ্যোগ ভাল আছে তবে সংশ্লিষ্ট সকলএনজিও ও জিও এর সহায়তায় কন্টিজেন্সি প্লানরিভিউ করাজরুরি প্রয়োজন। ফলে এন্টিসিপেটরী একশন বিষয়ে নতুন করে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় গাইবান্ধায়একটা সুন্দর দুর্যোগ মোকাবেলাকরা সম্ভব হবে।

উল্লেখ্য যে,এসকেএস ফাউন্ডেশন GFFO Multi Hazard Anticipatory Action Initiatives নামকপ্রকল্প ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারী মাস থেকে গাইবান্ধা জেলায় তিনটি উপজেলা যথা গাইবান্ধা সদর.ফুলছড়িএবং সুন্দরগঞ্জ মোট ১২টি ইউনিয়নে কাজ করে আসছে।জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিস এর আর্থিক সহায়তায় সেভ দ্য চিলেড্রন এর সার্বিক সহযোগিতায়ও রাইমস এর কারিগরি সহায়তায় এ প্রকল্পটি বন্যার আগাম সাড়াদান কার্যক্রম এর মাধ্যমে বন্যা কবলিত লক্ষিত জনগোষ্ঠির সম্পদ ও জীবনমানের ক্ষয়ক্ষতিক মানের লক্ষ্যে উদ্যোগগ্রহন ও সংশ্লিষ্ট সকলস্টাফ, স্টেকহোল্ডারদের দক্ষতাবৃদ্ধি ও সক্ষমতাবাড়ানোয় কার্যকরি পদক্ষেপ গ্রহনে ভূমিকা রাখছে।

কর্মশালায় জেলার প্রায় ২৫ টি বেসরকারীসংস্থা/প্রকল্পের প্রতিনিধিগণ অংশ গ্রহন করেন। কর্মশালায় সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডার গণ কিভাবে লক্ষিত জনগোষ্টি কে তাদের সহায়তা প্রদানকরবে, কিভাবে বন্যা প্রবণ জনগোষ্ঠিকে তাদের সম্পদ ও জীবিকায়ন ক্ষতিহ্রাস করার ক্ষেত্রে ন্যায্যতার বিবেচনায় জেন্ডার সমতা ও সাম্যতা আনায়নে সহায়তা করবে সে আলোচনাগুলিই প্রাধান্য পায়।

দিনব্যাপি এ কর্মশালায় জেলাত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অংশগ্রহন কারীদের মতামত,পরামর্শ ও শিখন বিনিময় করেন এবং সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সমাধানের পরামর্শ প্রদানকরেন।

অন্যান্যেরমধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প কর্মকর্তা রণজিৎ কুমারপাল, মো: রেজাউল করিম,মলয়কুমার সরকার, প্রকল্পের সহকারী প্রকল্পকর্মকর্তাপ্রমূখ।