
মোঃ মিন্টু
গাজীপুর সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় একটি তৈরি পোশাক কারখানার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি, চাঁদাবাজি এবং কারখানার গাড়িচালককে মারধরের অভিযোগে গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কাউসার আহম্মেদ মোল্লাসহ ৭জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার শিরিরচালা এলাকায় অবস্থিত কনফিডেন্স টেক্স ওয়্যার লিমিটেড নামে গার্মেন্টস কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মিনহাজ উদ্দিন বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় এ মামলা দায়ের করেন।
আসামীরা হলো, উপজেলা শিরিরচালা গ্রামের স্থানীয় আলাউদ্দিন মোল্লার ছেলে কাউসার আহম্মেদ মোল্লা (৪৫), সে গাজীপুর জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। এবং স্থানীয় আব্দুল করিমের ছেলে সুমন মিয়া (৩২), আব্দুল করিমের ছেলে মামুন মিয়া (৩০), মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে আবু সাইদ (৪৫), মৃত আব্দুল মান্নান মোল্লার ছেলে আশরাফুল (৪০), মৃত মজিবর রহমানের ছেলে দুলাল মিয়া (৪২) এবং মৃত শামছুল হক এর ছেলে জাহিদ হাসান রুবেল (৩২)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উক্ত আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে কারখানার কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। টাকা না দেওয়ায় তারা ভয়ভীতি প্রদর্শন, হামলা এবং কারখানার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে আসছে। অভিযোগে আরও বলা হয়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে কারখানা থেকে একটি কভার ভ্যানে (রেজি. নং- চট্ট মেট্রো-১১-০০৩৯) প্রায় ৫০ লাখ টাকা মূল্যের নীট গার্মেন্টস পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কারখানার প্রধান ফটকের সামনে পৌঁছালে যুবদল নেতা কাউসার আহম্মেদ মোল্লার মালিকানাধীন প্রাইভেট কার (ঢাকা মেট্রো-১৪-৫২০৬) দিয়ে পথরোধ করেন।
এরপর তারা গাড়ি চালকের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। চালক চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করা হয় এবং চার ঘণ্টার বেশি সময় মালবাহী কভার্ড ভ্যানটি আটকে রাখা হয়। পরে প্রাণরক্ষার্থে চালক সাজু বাধ্য হয়ে তাদের ৫ হাজার টাকা দিলে তারা গাড়ি ছেড়ে দেয়। যাওয়ার সময় আসামিরা চালককে হুমকি দিয়ে বলেন এই এলাকায় গার্মেন্টস ব্যবসা করতে হলে আমাদের চাঁদা দিতেই হবে বলে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে যুবদল নেতা কাউসার আহম্মেদ মোল্লার সাথে একাধিকবার ফোনে কল দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।
জয়দেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম বলেন, কারখানায় চাঁদাবাজি সহ গাড়ি চালককে মারধরের ও ভয়ভীতি প্রদর্শন, এবং কারখানার কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি ঘটনায় কারখানার এক কর্মকর্তা বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।