অন্যান্য

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলায়,২৯ বছর ধরে অবৈধ অধ্যক্ষ দিয়ে চলছে পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ!

  প্রতিনিধি 20 September 2024 , 2:09:09 প্রিন্ট সংস্করণ

শামসুদ্দোহা 

শ্রীপুর উপজেলা প্রতিনিধি

বিধিমালা অনুযায়ী এ পদে আবেদনের-ই যোগ্যতা ছিল না আবুল খায়ের’র। জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি পদে থেকে কলেজে বাড়তি ক্ষমতার দাপট

বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকায় এক শিক্ষককে বের করে দেন অবৈধ অধ্যক্ষ।

 

বিধি অনুযায়ী শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও বিশেষ বিবেচনায় নিয়োগ পান গাজীপুরের শ্রীপুরের পিয়ার আলী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অধ্যক্ষ এ কে এম আবুল খায়ের। অবৈধ প্রক্রিয়ায় নিয়োগ পেলেও সব কাজে তিনি ছিলেন আগ্রাসী। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে নিজের খেয়ালখুশি মতো গত ২৯ বছর ধরে কলেজ পরিচালনা করে আসছেন তিনি।

 

আবুল খায়ের ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে ১৯৯৩ সালে নিয়োগ পান। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিলো স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে কমপক্ষে দুটি দ্বিতীয় বিভাগ থাকতে হবে। কিন্তু স্নাতক ও স্নাতকোত্তর দুটিতেই ছিলো তার তৃতীয় বিভাগ। সরকারি বিধি মোতাবেক তিনি ছিলেন আবেদন করার অযোগ্য। তার শিক্ষা-সনদেও তাই দেখা যায়, এসএসসি প্রথম বিভাগ (১৯৮২), এইচএসসি দ্বিতীয় বিভাগ (১৯৮৪) স্নাতক তৃতীয় বিভাগ (১৯৮৬), স্নাতকোত্তর তৃতীয় বিভাগ (১৯৮৮), বিষয় ইংরেজি। প্রকৃতপক্ষে কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ ছিলেন কলিম উদ্দিন মাস্টার। তারপর নিয়োগ পান শাহ আহসান। কিন্তু প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষদ্বয়ের নাম মুছে দিয়ে একেএম আবুল খায়েরকে ১৯৯৩ সাল থেকে কাগজে-কলমে প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ দেখানো হয়। যেহেতু তিনি ১৯৯৩ সালে ইংরেজি প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন তাহলে কীভাবে তিনি প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ হন ? এমন প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি!

 

তার শিক্ষাগত জীবনে দুটি তৃতীয় বিভাগ থাকায় ১৯৯৭ সালে এমপিও ভুক্তি থেকে আইনগতভাবে তার নাম বাদ পড়ে। কিন্তু তৎকালীন কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, গাজীপুর-১ আসনের সাংসদ অ্যাড.রহমত আলী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬ আসনের সাংসদ, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবিএম তাজুল ইসলামের জোর সুপারিশে তার নাম এমপিও ভুক্ত হয়।

 

তিনি সরাসরি রাজনৈতিক কর্মকান্ডে জড়িত, বর্তমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত।

Author

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ