মোঃ মোসাদ্দেক হোসাইন ইমন (স্টাফ রিপোর্টার) :
গাজীপুরের ব্যস্ততম মহাসড়কগুলোতে নিষিদ্ধ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার দাপট থামছেই না। উল্টো পথে ছুটে চলা এসব যান প্রতিদিনই তৈরি করছে দুর্ঘটনার ঝুঁকি, অথচ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকটা নির্বিকার।
সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, মহাসড়কে অবৈধ অটোরিকশার চলাচল টিকিয়ে রাখতে দালালদের মাধ্যমে প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের চাঁদা গচ্ছিত হচ্ছে পুলিশের পকেটে। শুধু ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেই অন্তত ৪০০ অটোরিকশা থেকে মাসে ৪০ লাখ টাকা ওঠে। অন্যান্য মহাসড়ক মিলিয়ে এই অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় অর্ধকোটি।
চালকদের অভিজ্ঞতা বলছে, প্রতিদিনই গাড়ি চালাতে দিতে হয় চাঁদা। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চালক রাসেল জানান, প্রতিদিনের ৭০০–৮০০ টাকার আয়ে প্রায় অর্ধেকই চলে যায় পুলিশের ভাগে। না দিলে গাড়ি আটক কিংবা ডাম্পিংয়ে পাঠানোর ভয়। একই অভিজ্ঞতা ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের চালক আসাদ মিয়ারও। তার দাবি, পুলিশের সহযোগী হিসেবে পরিচিত ভলান্টিয়াররাও টাকা না দিলে হয়রানি করে। আটক হলে ছাড় পেতে দিতে হয় এক হাজার টাকারও বেশি।
তবে পুলিশ বলছে, অবৈধ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত অভিযান চলছে। চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের কথাও জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে মাওনা চৌরাস্তাকে কেন্দ্র করে প্রায় ১৩ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রতিদিনই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে অন্তত ৪০০ অটোরিকশা। স্থানীয়দের প্রশ্ন মাসের পর মাস এভাবে চললেও কেন থামানো যাচ্ছে না এই অবৈধ দৌরাত্ম্য?
