গাযওয়াতুল হিন্দ কি খুব কাছেই? ইরান-ইসরায়েল সংঘাতের আবহে চরম উত্তেজনা, জেগে উঠছে পুরনো ভবিষ্যদ্বাণী

মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সরাসরি সংঘাত, যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য জড়িত হওয়া, উত্তর কোরিয়ার হুঁশিয়ারি, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সংযম আহ্বান সব মিলিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে এক পুরনো ও আলোচিত হাদীস: “গাযওয়াতুল হিন্দ”

বিশ্বজুড়ে মুসলিম মননে এখন প্রশ্ন গাযওয়াতুল হিন্দ কি খুব কাছেই ?

যুদ্ধের ডামাডোলে ইসলামি ভবিষ্যদ্বাণী ফিরে এলো ইরান ও ইসরায়েল সরাসরি যুদ্ধের মধ্যেই রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, দুই সপ্তাহের মধ্যে যুদ্ধ অংশগ্রহণের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন। উত্তর কোরিয়া ইতোমধ্যে ইরানের পাশে অবস্থান নিয়েছে এবং ইসরায়েলকে ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধী’ আখ্যা দিয়েছে।

এরইমধ্যে ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী (IRGC) একযোগে শতাধিক ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র ইসরায়েলের হাইফা ও তেলআবিবের সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে।ইসরায়েলের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ প্রতিহত করতে ব্যর্থ হয়েছে একাধিক হামলা।প্রতিদিন বাড়ছে হতাহত, ধ্বংসস্তূপ আর বৈশ্বিক টেনশন।

গাযওয়াতুল হিন্দ: কী বলছে হাদীস ?

ইসলামের বর্ণিত ভবিষ্যদ্বাণী অনুযায়ী, এক সময় মুসলিম বাহিনী ভারতবর্ষে চূড়ান্ত যুদ্ধ করবে এবং বিজয় লাভ করবে।আমার উম্মতের একটি দল হিন্দে যুদ্ধ করবে, আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দান করবেন।(মুসনাদে আহমাদ) এ যুদ্ধের সেনারা এতই মর্যাদাসম্পন্ন হবে যে তারা পরবর্তীতে ঈসা (আ.)-এর সঙ্গী হবে বলেও বর্ণিত রয়েছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটের সঙ্গে মিল

বিশ্লেষকদের মতে, গাযওয়াতুল হিন্দ-এর হাদীসের প্রেক্ষাপটে কিছু মিল রয়েছে বর্তমান বাস্তবতার সঙ্গে: ইসরায়েল ও ভারত এখন ঘনিষ্ঠ সামরিক মিত্র।মুসলিম জনগোষ্ঠীর ওপর চরম দমন-পীড়ন চালানো হচ্ছে কাশ্মীরসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে। মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম দেশগুলোর বিরুদ্ধে একাধিক পশ্চিমা জোটের সক্রিয়তা।রাশিয়া, চীন ও উত্তর কোরিয়া মুসলিম পক্ষসমর্থিত ভূমিকায় অবস্থান নিচ্ছে ইসলামি প্রতিরোধ শক্তিগুলো (হামাস, হিজবুল্লাহ, আইআরজিসি) সরাসরি অস্ত্রহাতে মাঠে।

তাহলে কি যুদ্ধের সেই ভবিষ্যদ্বাণী সত্যি হতে চলেছে ?

বিশ্ব এখন এমন এক সময় পার করছে, যেখানে কোনো একটি ভুল সিদ্ধান্ত পুরো দুনিয়াকে বিপর্যয়ের মুখে ঠেলে দিতে পারে। সেখানে মুসলিমদের প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণী “গাযওয়াতুল হিন্দ” আর শুধু ধর্মীয় আলোচনা নয় বরং তা যেন এক বাস্তব, শ্বাসরুদ্ধকর রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা হয়ে উঠছে।

কুরআনের সতর্কতা:

তারা ষড়যন্ত্র করেছে, আল্লাহও কৌশল করেছেন, আর আল্লাহই শ্রেষ্ঠ কৌশলী।(সূরা আলে ইমরান: ৫৪)

ইরান-ইসরায়েল সংঘাত, পশ্চিমা শক্তির অংশগ্রহণ, ভারতীয় মুসলমানদের দুরবস্থা সব কিছু মিলিয়ে বিশ্ব মুসলিমদের মনে আজ একটাই প্রশ্ন জাগছে গাযওয়াতুল হিন্দ কি ইতিহাস নয়, বরং সমসাময়িক বাস্তবতা হয়ে উঠছে?