মানিক ইসলাম জেলা প্রতিনিধি, ঠাকুরগাঁও
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভুল্লী থানার শুখানপুখুরী ইউনিয়নের কালিকাগাঁও বাঙালী পাড়ায় সন্ত্রাসী কায়দায় পাকা ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার এক লোমহর্ষক অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগের তীর সরাসরি সাবেক যুবলীগ নেতা ও বর্তমান ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম ওরফে বনো মেম্বারের দিকে। তিনি দলবল ও সশস্ত্র গুন্ডাবাহিনী নিয়ে এক সাধারণ কৃষকের জীবনভর চাষ করা জমির ফসল লুট করে নিয়ে গেছেন—তাও রাতের গভীরে, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে।
ভুক্তভোগী কৃষক আমিনুল ইসলাম বলেন, “আমার মায়ের নামে রেকর্ডভুক্ত ৫৯ শতক জমি আমি ৪০ বছর ধরে ভোগ করে আসছি। নিজের হাতে ধান রোপণ করেছি। অথচ শুক্রবার রাত আনুমানিক ২টা—হঠাৎ বনো মেম্বার লোকজন নিয়ে হানা দেয়, একে একে কেটে নেয় আমার ঘামে ভেজা স্বপ্ন—পাকা ধান!”
এই বর্বর ঘটনার পর ভুল্লী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে (মামলা নং ০১, তারিখ: ১০/০৫/২০২৫)। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে—প্রশাসনের ভূমিকা কি কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ?
রোববার (১১ মে) এসআই মো. হারুন তদন্তে গিয়ে বাদীর বাড়ির আঙিনায় ধান দেখতে পেলেও আজও তা জব্দ হয়নি। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বনো মেম্বার আগে সরিষা কেটে জোর করে ধান লাগিয়েছিলেন, পরে আমিনুল ইসলাম আবার সেই জমিতে ধান চাষ করেন। ধান আধাপাকা হলে মধ্যরাতে সন্ত্রাসী কায়দায় তা তুলে নেয়া হয়।
অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম বনো মেম্বার সাংবাদিকদের বলেন, “এই জমি আমার, আমি ধান কেটেছি। মামলা চলছে, রায় আমি পাব।”
প্রশ্ন জাগে—রায় না হওয়া পর্যন্ত সাধারণ কৃষক কীভাবে নিরাপদ থাকবে? আর কতবার এমনভাবে ধান লুট হবে? বনো মেম্বার কি ‘ক্ষমতা আর পরিচয়ের’ ঢাল ব্যবহার করে আইনের চোখ রাঙিয়ে চলবেন?
এলাকাবাসী বলেন, “এই ঘটনায় যদি বিচার না হয়, তাহলে তো রাতের বেলায় আরও জমি লুট হবে, আরও ধান কাটবে গুন্ডারা, আর সাধারণ মানুষ হাত গুটিয়ে তাকিয়ে থাকবে!”