অন্যান্য

গোপালগঞ্জ কারাগার থেকে ১০৪ বন্দিকে যশোর পিরোজপুর ও বাগেরহাটে স্থানান্তর

  প্রতিনিধি 20 July 2025 , 5:34:24 প্রিন্ট সংস্করণ

 

এনসিপি’র সমাবেশকে ঘিরে হামলা, মামলার পর এবার ১০৪ জন কয়েদিকে আশপাশের তিন জেলার কারাগারে স্থানান্তর করেছে গোপালগঞ্জ কারা কর্তৃপক্ষ। জেল কোডের ৮৫৫ ধারায় গতকাল সকালে এসব বন্দিদেরকে গোপালগঞ্জ কারাগার থেকে বাগেরহাট, পিরোজপুর ও যশোরের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তবে এদের কেউই সাজাপ্রাপ্ত নয়, সকলেই ২০২৫ সালের মামলায় আটক হওয়া আসামি।

হাতে আসা গোপালগঞ্জ কারাগার থেকে বন্দি স্থানান্তরের এক নথিতে দেখা যায়, গোপালগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে মোট ৫০ জন বন্দিকে পাঠানো হয়েছে। গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের এসআই জাহাঙ্গীর আলী সেই চালানে বন্দিদেরকে ‘বুঝিয়া নিলাম’ মর্মে স্বাক্ষর করেছেন। বন্দি হস্তান্তরের ওই তালিকায় রয়েছেন- আব্বাস আল মামুন, লেলিন গাজী, মুনসুর মোল্লা, সাদ্দাম মুন্সী, মিলন শেখ, জুবায়ের কাজী, কাজী শাহানুর, রনি বিশ্বাস, উজ্জ্বল মল্লিক, আলী সরদার, হাসিবুল শেখ, লাভু শেখ, চাহিদ মৃধা, কাশেম শেখ, বাবু শরীফ, সৈয়দ জাহিদ, হেমায়েত শিকদার, কবির শেখ, আবুল কালাম আজাদ, ফারুক মুন্সী, সালমান শেখ, হেদায়েত শেখ, তুষার খন্দকার, লিটন বালা, শাহাদাৎ শেখ, আজিজুর মুন্সী, রিংকু ঠাকুর, সুজন ঠাকুর, রাজ্জাক শেখ, জনি মোল্লা, শিমুল সরদার, ছলেমান শিকদার, আলম শেখ, শিহাব মোল্লা, সানোয়ার মোল্লা, সাকিল শিকদার, আলী তালুকদার, জানে আলম, রজু মণ্ডল, নাজমুল মোল্লা, গঞ্জর খলিফা, প্রতুল চন্দ্র অদ্র, সত্যানন্দ মণ্ডল, কাবুল শেখ, সমির বাড়ৈ, মাসুদ মল্লিক, রেজাউল মল্লিক, মিজান হাওলাদার, ফরিদ শিকদার, পলাশ লস্কর।

 

এ ছাড়াও আরেক এসআইয়ের জিম্মায় গোপালগঞ্জ কারাগার থেকে পিরোজপুর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে- শহিদ মোল্লা, মো. হাচিব, কাবুল শেখ, হায়দার মোল্লা, সুমন, সাগর চোকদার, বাবলু রায়, সৌরভ বাড়ৈ, নুর হোসেন, রুবেল মোল্লা, বাচ্চু খাঁ, শাহিন ওরফে রুবেল, আবু দাউদ মোল্লা, আজাদ শেখ, সনজিৎ বিশ্বাস, সিরাজ খান, সৌরভ শীল, দয়াল শীল, প্রসোনজিৎ বৈরাগী, অজেদ গাইন, হিরু খান, সাহাবুদ্দিন, মো. নাদীম মোড়ল, দুলাল শেখ, মো. রমজান শেখ, ইয়াছিন মাতু, হোসাইন, মিলন শেখ, মোতালেব, জোনায়েদ ফকির, নাজমুল ব্যাপারী, আ. রহমান, শামীম হাওলাদার, সিরাজ খান, মিকাইল ইসলাম, সানোয়ার হোসেন, মিজানুর মোল্লা, নাসির মাতুব্বর, ফেরদৌস, মো. রাকিব, ফেরদৌস হাসান, রিয়াদ সরদার, আরমান মোল্লা, তরিকুল শেখ, মো. অনিক মিয়া, রাকিব মিয়া, সিয়াম খান, ওসমান গনি, নয়ন দাস, আনিস কাজী। বাগেরহাট ও পিরোজপুর ছাড়াও যশোর জেলা কারাগারে আরও বেশকিছু বন্দিকে হস্থান্তর করেছে গোপালগঞ্জ জেলা কারা কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে বন্দিদের পরিবহনের দায়িত্বে থাকা গোপালগঞ্জ পুলিশ লাইন্সের এসআই জাহাঙ্গীর আলী বলেন, আমার দায়িত্ব ছিল শুধু গোপালগঞ্জ কারাগারে বন্দি থাকা আসামিদেরকে বাগেরহাট জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়ার। আমি সেই আসামিদেরকে পৌঁছে দিয়ে গোপালগঞ্জে ফিরে এসেছি। কেন, ঠিক কী কারণে এসব আসামিদেরকে স্থানান্তর করা হয়েছে তা কারা কর্তৃপক্ষই ভালো বলতে পারবেন।

বিষয়টি নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের জেলার (ভারপ্রাপ্ত) তানিয়া জামান বলেন, গোপালগঞ্জ কারাগার থেকে শনিবার সকালে বাগেরহাট, পিরোজপুর ও যশোর জেলা কারাগারে মোট ১০৪ জন বন্দিকে স্থান্তর করা হয়েছে। মূলত আমাদের এই কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে তিনগুণ বেশি অপরাধী বন্দি রয়েছেন। আমাদের ধারণক্ষমতা ৩২০ জন। কিন্তু বর্তমানে ৯শ’র বেশি মানুষ গোপালগঞ্জ কারাগারে বন্দি রয়েছে। এই ধারণক্ষমতার বেশি বন্দি থাকায় আমরা আশপাশের তিন জেলায় বন্দিদেরকে স্থানান্তর করেছি।

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ