অন্যান্য

চালক ও স্টাফের হেনস্তার প্রতিবাদে বাস আটকে ক্যাম্পাসে নিলেন শিক্ষার্থীরা

  প্রতিনিধি 5 September 2025 , 6:05:06 প্রিন্ট সংস্করণ

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক ও তিন শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ইউনিক পরিবহনের একটি বাসের চালক ও এর কর্মীদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পায়রা সেতু টোল প্লাজা থেকে ইউনিক পরিবহনের একটি বাস আটক করে ক্যাম্পাসে নিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল দুপুরে ঢাকাগামী ইউনিক পরিবহনের একটি বাসে ওঠেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মিয়াসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। ওই বাসের চালক নুরুল ইসলাম বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। তখন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অন্য যাত্রীরা ধীরে বাস চালানোর অনুরোধ জানান। কিন্তু চালক তাঁর ইচ্ছেমতো বাস চালাতে থাকেন। এ নিয়ে চালক ও কর্মীদের সঙ্গে যাত্রীদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। এ সময় চালক ও কর্মীরা গালি দেন এবং মারধরের চেষ্টা করেন।
অধ্যাপক আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘ওই বাসের চালক নুরুল ইসলাম ঝুঁকিপূর্ণ সড়কগুলোতে বেপরোয়া গতিতে চালাচ্ছিলেন। আপত্তি জানালে চালক ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্রাব্য ভাষায় গালমন্দ করেন এবং গায়ে হাত তুলতে তেড়ে আসেন। এ ঘটনায় বিব্রত হয়ে আমি ভাঙ্গায় নেমে যাই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ মুহসীন তানজিম বলেন, ‘বাসটি ঢাকার সায়দাবাদ পৌঁছালে আমাদের তিন সহপাঠী সেখানে নামতে যান। তখন বাসের কর্মীরা তাঁদের নামতে বাধা দেন। মারধর করার জন্য তাঁদের টিটিপাড়ায় নিয়ে যান। এ ঘটনা ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজনা দেখা দেয়। এরপর শিক্ষার্থীরা পায়রা সেতুর টোল প্লাজা থেকে ইউনিক পরিবহনের তিনটি বাস আটক করে। পরে দুটি বাস ছেড়ে দেওয়া হয়। একটি বাস ক্যাম্পাসে আনা হয়। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত বাস ছেড়ে দেওয়া হবে না।’
এ বিষয়ে জানতে ইউনিক পরিবহনের প্রধান কার্যালয়ের ফোন নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ ফোন ধরেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আবুল বাশার খান গতকাল রাতে বলেন, ‘ওই ঘটনার ইউনিক পরিবহনের পক্ষ থেকে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। আগামীকাল (আজ) তাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা আছে।’

আরও খবর

                   

জনপ্রিয় সংবাদ