প্রতিনিধি 13 December 2024 , 6:06:51 প্রিন্ট সংস্করণ
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে। ফলে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ছবি: খবরের কাগজ
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে। সেই সঙ্গে শুরু হয়েছে মৃদু শৈতপ্রবাহ।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এ সময় বাতাদের আদ্রতা ছিল ৮৮ শতাংশ। যা চলতি মৌসুমে এটিই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যৈষ্ঠ পর্যবেক্ষক রকিবুল হাসান বলেন, ‘শুক্রবার সকাল ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’
ভোর থেকে জেলা শহরসহ গ্রামাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে গোটা জেলা। বৃহস্পতিবারের তুলনায় শুক্রবার কুয়াশার পরিমান কম হলেও শীতের তীব্রতা বেশি। ভোরের আলো ফুটলেও কুয়াশার কারণে সড়কগুলোতে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলসহ যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। প্রয়োজনের বাইরে অনেকে বের না হলেও জীবিকার তাগিদে কাজে যেতে দেখা গেছে শ্রমিকদের।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দীনননাথপুর গ্রামের এক কৃষক বলেন, এবার ৪ বিঘা জমিতে ইরি ধান লাগিয়েছি। ভোর থেকেই পরিচর্চা করতে হচ্ছে। এমনিতেই হাত-পা যেন বরফ হয়ে যাচ্ছে, অপরদিকে হিমেল বাতাসে আরও বেগতিক অবস্থা। কিছুই করার নেই। পরিচর্চা করতে তো হবেই।
দিন ইসলাম নামে এক ভ্যানচালক বলেন, ভোরে বাড়ি থেকে বের হয়েছি। কনকনে ঠাণ্ডায় হাত-পা অবশ হয়ে আসছে। শরীরে তিন-চারটা গরম কাপড় পড়লেও কোন কাজ হচ্ছে না। মনে হচ্ছে ডিপ ফ্রিজের মধ্যে আছি। বাইরে তেমন লোকজন নেই। যাত্রী তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। শীতের কারণে ভ্যান ঠিকভাবে চালানো যায় না। ফলে উপার্জন কমে গেছে।
এদিকে, শীতের কারণে শ্বাসকষ্ট, জ্বর-সর্দিতে বেশি ভুগছেন শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা। এদের মধ্যে বেশি সমস্যা বয়স্কদের। শীতের কারণে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিভিন্ন শীতজনিত রোগব্যাধি। প্রতিদিন জেলার সদর হাসপাতাল ও অন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে বাড়ছে রোগীদের ভিড়। শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। চিকিৎসকরা শীতে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে চিকিৎসকরা চিকিৎসাসেবার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন।